রংপুরে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে হত্যা মামলার আসামির মৃত্যু

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পুলিশ হেফাজতে জোড়া খুনের মামলার এক আসামির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম এজারুল ইসলাম। মঙ্গলবার রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত এজারুলের শ্বশুর মোবারক আলী জানান, তার জামাই আগে থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। এছাড়াও তার মেরুদণ্ডে অপারেশন করা ছিল।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহলী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের মৃত নুর আলীর চার ছেলে জানারুল, এজারুল, হাকিনুর ও ভুট্টু। ২০০৩ সালে এই চার ভাইয়ের মধ্যে বাঁশ নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ায় হাকিনুর ও ভুট্ট মারা যান।

এ ঘটনায় ২০০৩ সালের ৫ জুন অপর ভাই জানারুল বাদী হয়ে এজারুলকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন। বিষয়টি শেষে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এজারুল আদালতে ঠিকমতো হাজিরা না দেয়ায় ২২ সেপ্টেম্বর তার নামে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নোহালী ইউনিয়নের পূর্ব কচুয়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এজারুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসার সময় তার বুকব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এসময় পুলিশ তাকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এজারুল হৃদরোগ থেকে শুরু করে নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। আদালতের আদেশে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে চিকিৎসার জন্য গঙ্গাচড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য বলেন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: