বোরহানউদ্দিনে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে অলক চন্দ্র (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে দুজনকে আসামি করে ওই কিশোরীর মা মামলা দায়েরের পর দুপুরেই তাকে আটক করে পুলিশ।

মামলার এজাহারে বাদী লিখেছেন, তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের স্থানীয় যুবক অলক চন্দ্র দে উত্ত্যক্ত করতেন। একসময় তার মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তিনি। চলতি বছর এসএসসি পাস করার পরে তার মেয়েকে একাধিকবার পরিবারের অজান্তে ঘুরতে নিয়ে যান তিনি। এরপর তার মেয়েকে ধর্ষণ করেন অলক। বিষয়টি জানাজানি হলে ছেলের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান তারা। তখন অলকের পরিবার ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।

উপায় না দেখে মেয়ের মতামত নিয়েই পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়ে শ্বশুরবাড়ি যেতে না-যেতেই অলক আবারও ওই কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে ফিরে আসতে বলে। ফিরে আসলেই তাদের বিয়ে হবে, এ রকম আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়ে ফিরে এলেও অলক তাকে গ্রহণ করেন না। একপর্যায়ে কিশোরী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার পর তারা আইনের আশ্রয় নেন।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর দাবি, অলক প্রতিবার তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। বিয়ের আশ্বাস দিয়েছেন। তার ঘর করার জন্যই স্বামীর বাড়ি থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিয়ে ফিরে এসেছেন, কিন্তু অলক বিয়ে করেননি। কিশোরী এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন জানান, এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ওই মামলার আসামি অলককে গ্রেপ্তার করেছে। মেয়েটিকে ভোলা সদর হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা শেষে তাকে সেফ হোমে পাঠানো হবে। কারণ, মেয়েটি এখনো প্রাপ্তবয়স্ক হয়নি।

টাইমস/এইচইউ