প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ৪ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

২ হাজার ৪৫৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত একনেক সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন একনেক সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে দুটি নতুন ও দুটি প্রথম সংশোধিত।

প্রকল্প গুলো বাস্তবায়নে সরকারি অর্থায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার ৬৬৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বাকি অর্থ প্রকল্প সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ১৮২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ও বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ হিসেবে আসবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

একনেকের সভা শেষে অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনা সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সচিব জানান, ভাঙন ঠেকাতে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ যেন বাধাপ্রাপ্ত না হয়, সেদিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ড্রেজিংয়ে সতর্কতার সঙ্গে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হল- যমুনা নদীর ডান তীর ভাঙন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলাধীন সিংড়াবাড়ী, পাটাগ্রাম ও বাউখোলা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬০ কোটি ৭ লাখ টাকা। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন নতুন এই প্রকল্পের সম্পূর্ণ অর্থায়ণ করবে সরকার।

এছাড়া কক্সবাজার জেলায় শুটকি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যার পুরোটাই আসবে সরকারি অর্থায়ন থেকে। এই প্রকল্পটিও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন।

অন্য প্রকল্প হল- পাঁচদোনা-ডাঙ্গা-ঘোড়াশাল জেলা মহাসড়কে একস্তর নিচু দিয়ে উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেনসহ ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫৫১ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন এই প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীর অনুমোদন দেয়া হয় আজ। এটিও সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।

অপর প্রকল্পটি হচ্ছে, আমিনবাজার-মাওয়া-মোংলা ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন প্রকল্পে ১১৪৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে। এটি প্রথম সংশোধনী প্রকল্প। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সরকার অর্থায়ন করবে ৩৫৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৮২ কোটি ১৪ লাখ ও দাতা সংস্থা থেকে ঋণ নেয়া হবে ৬০৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: