প্রাকৃতিক উপায়ে প্রায় নিখুঁত ভাবে সংরক্ষিত একটি প্রাচীন তিমির কঙ্কাল উদ্ধার করেছেন গবেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে এর বয়স আনুমানিক ৩০০০ থেকে ৫০০০ বছর।
নভেম্বরের প্রথমার্ধে ব্যাংককের উপকূল থেকে মাত্রা ১২ কি.মি পশ্চিমে সামুত সাখন নামক অঞ্চলে এই কঙ্কালটির সন্ধান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, এটি ব্রাইড প্রজাতির তিমির কঙ্কাল। এই প্রজাতির তিমি এখনও থাইল্যান্ডের সমুদ্র সীমায় দেখতে পাওয়া যায়।
গবেষকরা বলছেন, এ আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে অতীত সম্পর্কে গবেষণার পথ আরও প্রশস্ত হলো। বিশেষ করে সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্যের অতীত সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্যই জানা সম্ভব হবে।
গবেষকরা ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ খনন কার্য সম্পাদন করেছেন। এর ফলে এ পর্যন্ত তিমিটির ১৯টি সম্পূর্ণ মেরুদণ্ডের অস্থি বা কশেরুকা, পাঁচটি পাঁজর, একটি কাঁধের হাড় এবং পাখনা সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। কঙ্কালটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ (৩৯ ফুট) এবং এর মাথার খুলির দৈর্ঘ্য ৩ মিটার (৯.৮ ফুট)।
ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর থেকে মার্কাস চুয়া এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটি একটি দুর্লভ আবিষ্কার। এশিয়াতে তিমির ফসিল খুব একটা পাওয়া যায়নি। বিশেষত এমন সুন্দর অবস্থায় আগে কখনই পাওয়া যায়নি ।’
তার মতে, ব্যাংককের নিকট হাজার বছরের প্রাচীন তিমির এই ফসিল আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে ওই সময় সমুদ্রের অবস্থান কোথায় ছিল সে সম্পর্কে আরও জোরাল প্রমাণ পাওয়া গেল। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রের উচ্চতা বৃদ্ধি ও পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে এসব তথ্য সহায়ক হবে।
এছাড়াও এই আবিষ্কারের মধ্যদিয়ে বাইডেন প্রজাতির তিমি ও অন্যান্য সামুদ্রিক জীব সম্পর্কে গবেষণায় আরও অগ্রগতি সাধিত হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তিমির ফসিলটির পাশাপাশি হাঙরের দাঁতের মতো আরও বেশ কয়েকটি জিনিস সেখানে পাওয়া গেছে।
আগামী মাসের মধ্যে বিজ্ঞানী এই কঙ্কালটির সঠিক বয়স শনাক্ত করতে পারবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যসূত্র: দ্যা গার্ডিয়ান
টাইমস/এনজে/এসএন