বিশ্বজুড়ে শান্তি ও সহনশীলতার সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করতে আগামী বছর ‘বিশ্ব শান্তি সম্মেলন’ আয়োজন করবে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ভার্চুয়াল ‘বঙ্গববন্ধু লেকচার সিরিজ’-এর প্রথম দিনে এসব কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
‘বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজ’-এর প্রথম দিনে মঙ্গলবার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। একই অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে আগামী মাসে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া আগামী বছর জুড়ে প্রতি মাসে দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা এই লেকচারে অংশ নেবেন।
এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সংঘাত নিরসনে আলোচনা, কূটনীতি ও শান্তিপূর্ণ উপায়ের পথনির্দেশক। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে দৃঢ়ভাবে সহনশীলতার সংস্কৃতি ধারণ করার আদর্শ শিখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
তিনি আরও বলেন, শান্তি ছাড়া কোনো উন্নয়ন হতে পারে না। আর অশান্তি তখনই তৈরি হয় যখন ভিন্ন বিশ্বাস ও মতের মধ্যে সহনশীলতার ঘাটতি দেখা যায়। আমাদের আরও সহনশীল হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ পরম সহনশীলতার শিক্ষা দেয়।
টাইমস/এসএন