ডা. আকাশের আত্মহত্যায় মিতুর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেফতার স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁন্দগাও থানার এএসআই আবদুল কাদের চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন।

এ বিষয়ে বিকালে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ডা. আকাশের ফেসবুক থেকে স্ত্রী মিতুর ‘বহুগামিতা’ এবং এ-সংক্রান্ত যেসব ছবি ও মেসেঞ্জার চ্যাটের স্ক্রিনশট আপলোড করা হয়েছিল, সেগুলো ডিলিট করে দেয়া হয়েছে।

তবে কে বা কারা এ কাজটি করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. মিজানুর রহমান।

তিনি জানান, ডা. আকাশের আত্মহত্যায় স্ত্রী মিতুর প্ররোচনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আকাশ তার পোস্টে মিতুর যেসব ছেলেবন্ধুর নাম বলে গেছেন, তাদের বিষয়েও পুলিশ তদন্ত করবে।

গ্রেফতার মিতুর প্রাথমিক স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, আমানত শাহ মাজার এলাকা থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ডা. আকাশের ব্যক্তিগত মুঠোফোনটিও জব্দ করা হয়েছে। দুটি মোবাইলই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কিভাবে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁন্দগাও থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, ডা. আকাশের ফেসবুক কিংবা মুঠোফোন থেকে কী কী তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে যেসব তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারে সেগুলো উদ্ধার করা হবে।

তিনি জানান, মিতু ও আকাশের দুটি ফোনই পুলিশের কাছে আছে।

একাধিক পুরুষের সঙ্গে স্ত্রীর দিনের পর দিন পরকীয়া কুরে খাচ্ছিল ডা. মোস্তফা মোরশেদ আকাশকে। যন্ত্রণা এতটা প্রকট হয়ে উঠেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে পাপের পথ থেকে ফেরাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তরুণ সম্ভাবনাময়ী এ চিকিৎসক।

নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকার ২ নম্বর সড়কের ২০ নম্বর বাসা থেকে বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডা. আকাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অ্যানেস্থেসিয়া বিভাগে চিকিৎসা কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি চন্দনাইশ উপজেলার বাংলাবাজার বরকল এলাকার মৃত আবদুস সবুরের ছেলে।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেফতার হন তার স্ত্রী তানজিলা হক মিতু।

শুক্রবার বিকালে মিতুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেছেন আত্মহত্যাকারী চিকিৎসকের মা জমিরা খানম।

মামলায় মিতু, তার বাবা আনিসুল হক চৌধুরী, মা এবং আমেরিকা প্রবাসী এক বোন ও মিতুর দুই ছেলে বন্ধুকে আসামি করা হয়েছে।

 

টাইমস/এক্স

Share this news on:

সর্বশেষ