সালিশে ডেকে স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষকের নাম সোহেল রানা (৩৫)। তিনি পুঠিয়ার দোমাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি।

রোববার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

পুঠিয়ার বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বদি জানান, সম্প্রতি সোহেল রানার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান আলী পুঠিয়ার মাহেন্দ্রা বাজারে একটি জমি কেনেন। কিন্তু জমিটি একই গ্রামের ভাদু মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম ও মাজেদুল ইসলাম নিজেদের দাবি করে তা দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সমঝোতায় বসেও কোনো সুরাহা হয়নি।

গত শুক্রবার সকালে আবারও উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশে বসেন বিচারকরা। একপর্যায়ে তাজুল ও মাজেদুলসহ তাদের সহযোগীরা লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বেলপুকুর থানার ওসি আলমগীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সোবহান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

সেদিন মাজেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি আলমগীর হোসেন।

 

টাইমস/এসজে/এসএন

Share this news on: