ভয়াবহ রূপে করোনা: হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ

কাগজে কলমে দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। গত একমাসে করোনা ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে। প্রতিদিন দুই হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। এর আগে করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবেও বাংলাদেশে সংক্রমণের হার এমন অবস্থায় ছিল না। কিন্তু শেষ বেলায় এসে করোনার দাপটে দিশেহারা বাংলাদেশ। গত এক মাসে দেশের করোনা রোগী বেড়েছে দ্বিগুন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, করোনার প্রথম প্রার্দুভাবে বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রিত সংক্রমণ হার থাকায় মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে। সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান ও জমায়েত চলছে পুরোদমে। নেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা। দেশের সর্বত্র এমন একটা ভাব বিরাজ করছে, যেন করোনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা বলছেন, নাগরিকদের খামখেয়ালি ও গা ছাড়া ভাবের কারণে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শেষ দিকে এসে ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন এখন সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে লাশের সারি। গতকাল শনিবার (২০ মার্চ) একদিনেই মারা গেছেন ২৬ জন। যা গত তিন মাসে সর্বোচ্চ। ভরা শীত মৌসুমেও দেশে করোনায় একদিনে এত লোকের মৃত্যু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পরিস্থিতি দিনদিন প্রতিকূলে চলে যাচ্ছে। কেউ স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ১০ শতাংশ মানুষ এখন মাস্ক ব্যবহার করছে। যা আতঙ্কের, উদ্বেগের। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। আইসিইউতে রোগী রাখতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পর্তুগাল, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশে করোনার নতুন অস্তিত বা ধরন পাওয়া গেছে। যা আগের ধরনগুলোর চেয়ে বহুগুণ বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশেও এসব ধরন মিলেছে। তাই এখনই যদি স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও মাস্ক পরতে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা না হয় তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: