পরিবার পরিজনের সাথে ঈদ উদযাপন শেষে আগেভাগেই রাজধানী ঢাকার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। এদিকে ঈদের আগে বাড়ি যেতে না পাড়া অনেক যাত্রী আবার ঈদের পরদিন শনিবার ফিরছে বাড়িতে। ফলে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রীদের উভয়মুখী চাপ দেখা দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে।
এসব যাত্রীদের ঠেকাতে বা করোনাকালের এই সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন করতেও নেই কোনো উদ্যোগ। পুলিশের ট্রাফিক সদস্যরা যাত্রীবাহী ব্যক্তিগত গাড়িগুলো আটকে দিলেও অটোরিকশায় থাকা যাত্রীরা নির্বিঘ্নেই ঘাটে প্রবেশ করতে পারছেন। আবার তদবির ও কিছু টাকার বিনিময়ে সিরিয়াল ভেঙেই ঘাটের দিকে যেতে দেখা যায় গাড়ি।
ফেরিতে ওঠা বেশ কয়েকজন যাত্রী বলছিলেন, ফেরিতে গাড়ি ছাড়া সাধারণ যাত্রীপ্রতি ভাড়া ১৫ থেকে ২০ টাকা। কিন্তু তাদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে রাখা হয়েছে।
অবশ্য ঘাটে দায়িত্বরত লৌহজং থানার উপপরিদর্শক আ. খালেক দাবি করেন, সব কিছু নিয়ম মতোই চলছে। সাধারণ যাত্রীদের চাপ সামলাতে গিয়ে ফেরিতে গাড়ি উঠানো যাচ্ছে না।
এদিকে ঈদের পরের দিনও মানুষের এমন ভিড় হবে, তা ধারণাতেও ছিল না বলে জানান শিমুলিয়া ঘাটে দায়িত্বরত সার্জেন্ট মো. শামীম জানান। মানুষের জন্য ফেরিতে গাড়িই তোলা যাচ্ছে না।
এদিকে যাত্রীর পাশাপাশি শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৪ শতাধিক ছোটবড় যানবাহন। এসব যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৬টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।ড়।
টাইমস/এসজে