ঘূর্ণিঝড় তাউতের তাণ্ডবে নিহত ৬ জন

স্থলভাগে প্রবেশ না করেই সাগরের ওপরই শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় তাউতে। ইতিমধ্যেই তাউতে-র প্রভাব পড়েছে কেরালা ও কর্ণাটক উপকূলে। উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বইছে। কেরালায় অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে গেছে গাছ। দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে।

রীতিমতো তাণ্ডবের শিকার ভারতের কর্ণাটক রাজ্য। রাজ্যটির ছয়টি জেলার ৭৩টি গ্রাম কার্যত বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে চারজনের। এছাড়া দুই রাজ্যেই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই জানান শনিবার (১৫ মে) রাতেই ‘তাউতে’ কর্ণাটক উপকূলে প্রবেশ করেছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দুটি দল এখানে আছে। আমরা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীরও তিনটি দল মোতায়েন করা হয়েছে। কর্ণাটকের তিনটি উপকূলবর্তী জেলায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন এক হাজার জন

পরে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেন, ‘উপকূলবর্তী এলাকায় আমরা ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। যে জেলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের এবং জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি আমি, যাতে উদ্ধারকাজ ঠিকভাবে চলে।’

আবহাওয়া ভবনের সাম্প্রতিক সময়ে বুলেটিন অনুযায়ী, রোববার (১৬ মে) ভোর সাড়ে ৫টার সময় আড়াইটের সময় পূর্ব-মধ্য আরব সাগরের উপর অবস্থান করছে তাউতে, যা শেষ ছয় ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) সন্ধ্যায় গুজরাত উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে পোরবন্দর এবং মাহুভার মাঝখান দিয়ে সেই ঘূর্ণিঝড় গুজরাত উপকূল পার করবে। ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় ১৮টি হেলিকপ্টার এবং ১৬টি পণ্যবাহী বিমান তৈরি রেখেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনীও। এরই মধ্যে বিভিন্ন নিচু জায়গা থেকে লোকজনকে সরানো হয়েছে। কেরালা, কর্ণাটক, গুজরাট, গোয়া এবং মহারাষ্ট্রে একাধিক দল মোতায়েন করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।

 

টাইমস/এসজে

Share this news on: