ফরিদপুরে দুদকের মামলায় ব্যাংক কর্মকর্তার যাবজ্জীবন

ফরিদপুরে দুদকের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বুধবার ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত শামসুর রহমান শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা শাখায় ইসলামী ব্যাংকে সহকারী ক্যাশিয়ার পদে দায়িত্ব পালন করতেন। ২০১২ সালের ২০ মার্চ থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, আদালত দুটি ধারায় শামসুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দিয়েছেন। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম দণ্ড দেয় আদালত।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। এ জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

মামলার নথির বরাতে জানা যায়, শামসুর রহমান ইসলামী ব্যাংকের ডামুড্যা শাখায় দায়িত্ব পালনের সময় ২০১২ সালের ২০ মার্চ বেলা ১টার দিকে নামাজে যাওয়ার কথা বলে ব্যাংক থেকে বের হন। তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে ওইদিন বিকেলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুন্সী রেজাউল রশিদ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তায় অতিরিক্ত চাবি দিয়ে ক্যাশ ভল্ট খুলে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকার হিসাব পাননি। এছাড়া তদন্তে ধরা পড়ে শামসুর রহমান ব্যাংকের গ্রাহক নূরজাহানের ৩০ হাজার টাকা, মতি ফকিরের এক লাখ ৩০ হাজার টাকা ও চান মিয়ার ৩২ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

ওই দিনই ব্যবস্থাপক রেজাউল ডামুড্যা থানায় শামসুর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন। ওই দিনই তাকে ব্যাংক থেকে বরখাস্ত করা হয়। তদন্ত শেষে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক কমলচন্দ্র পাল মোট ৪ লাখ ২ হাজার টাকা আত্মসাতের কথা উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেন আদালতে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: