স্টার্ক শেষ করলেন, পুঁজি ১৩১
বাংলাদেশের ইনিংসটা আফিফ নিজের মতো শেষ করতে না পারলেও স্টার্ক ঠিকই শেষ করেছেন। দুর্দান্ত ইয়র্কারে আফিফকে ফিরিয়েছেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে নিজের ৫০তম উইকেটটিও পূর্ণ করেছেন এই পেসার। ৪ ওভারে ২ উইকেট নিয়েছেন ষ্টার্ক।
আফিফ লড়লেন, ২৩ করলেন-
স্কোরবোর্ডটাতে কিছু লাড়াইয়ের পুজি দিতে চেষ্টা করেছেন আফিফ। পেরেছেন কি পারেননি তার চেয়ে চেষ্টাটায় চোখে পড়েছে তার। এমন বোলিং লাইনাপের বিরুদ্ধে ৩ চারে ১৭ বলে ২৩ করেছেন আফিফ। শেষ ওভারে নো বলে বোল্ড হয়ে জীবন পান তিনি।
'ষ্টার্কিয়' বলে শামীমের বিদায়-
যে ইয়র্কারে বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানরা প্রতিনিয়ত হাপিত্যেশ তোলে মাঠে। তেমনি এক ডেলিভারিতে ৩ বলে ৪ রান করে ফিরে গেলেন শামীম । এমন বলে তার করার কিছুই ছিলোনা। চোখেও দেখেনি , ব্যাটও ঘুরেনি।
হ্যাজলউডের তিন, সাকিবের ৩৬-
ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় সেরা বোলার জশ হ্যাজলউড। নাম, র্যাঙ্কিংয়ের সাথে তো কাজের মিল রাখতেই হয়। ফরম্যাট না হয় ভিন্ন, বোলিংয়ের ধার তো আর ভিন্ন নয়।
ম্যাচে রানের লাগামটাই ধরে রেখেছিলেন তিনি। ২৪ রানে সৌম্য, রিয়াদ সবশেষ সাকিবকেই তুলে নেন তিনি। ক্রিজে ধুকতে থাকা সাকিব স্লোয়ারটা ধরতে পারলেন না। ৩৩ বলে ৩৬ রানের মন্থর এক ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
সাকিবের জীবন পাওয়া, সোহানের আসা যাওয়া-
লং অনে উড়িয়ে সাকিবের চার। ক্যাচ হতে হতেই বেঁচে যান তিনি। টাই দৌড়ে এসে বলটি তালু বন্দী করতে না পারার সুবাদেই চার রান যোগ হয় সাকিবের খাতায়। তবে তিনি পার পেলেও পাননি সোহান। ক্রিজে এসেই শট খেলার ট্রাই করেন তিনি। কিন্তু স্পেশালিস্ট বোলার টাই কি কম যায়! অফ সাইডের বেশ বাইরেই নাকল ডেলিভারি দেন টাই। সোহানও বাইরে বেরিয়ে শট খেললেন। কিন্তু ভুল টাইমিংয়ে নাকল বলেই নাকাল সোহান। ৪ বলে তিন করেই ফিরেন তিনি।
ছক্কার পর রিয়াদের ফেরা-
১২ ওভারে স্কোরবোর্ডে দুই উইকেটে ৬৭ রান। কত যাবে স্কোর বাকি ৮ ওভারে? সেটি ভেবেই ১৩ ওভারের প্রথম বলেই রিয়াদের ছক্কা। হ্যাজলউডের লেন্থ বলকে ডিপ ব্যাক স্কোয়ারে ছক্কা। কিন্তু ৫ রানে জীবন পাওয়া রিয়াদ তাড়াহুড়োই করে ফেললেন পরের বলে। মিড অফের দিকে আকশে তুলে মারলেন আবারও। এবার আর ছাড় পেলেন না। পেছন দিকে দৌড়ে হেনরিকেসের ক্যাচে আউট রিয়াদ।
১০ ওভারে ৫৮/২ , কাপ্তানের জীবন-
সাকিবের ব্যাটে রান খরা দীর্ঘ সময়। তবুও চেষ্টার কমতি নেই। জাম্পার ওভারে এইজ লেগে স্লিপে চার। পরের বলে সোজা ব্যাটে এবার জাম্পার মাথার উপর দিয়ে বাউন্ডারি। কিছুটা আক্রমনের চেষ্টা। পরের ওভারে অ্যাশটন অ্যাগারের বলে ৫ রানে জীবন পান রিয়াদ। প্রথম স্লিপে টার্নার তার ক্যাচটি ছেড়ে দেন।
নাইমের আত্মহুতি-
ভালো শুরু করে মোমেন্টাম ধরে রাখতে না পারাটা যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের। বল ব্যাটে আসছে, ভালো শটও হচ্ছে। তবুও ভুল শট। জাম্পাকে আগে থেকে মন স্থির করা রিভার্স সুইপে করতে গিয়েছিলেন। পায়ের পেছন দিয়ে খালি থাকা স্ট্যাম্পে লেগে ২৯ বলে ৩০ রানের ইনিংস থামলো।
সাহসী শুরু, সৌম্যর বিদায় আর মন্থর পাওয়ার প্লে-
ইনিংসের দ্বিতীয় বলে স্টার্ককে ওভার মিড উইকেটে নাইমের ছক্কা। পিক আপ শটেই সাহসী বার্তা। পরের ৪ বলেই ডট। তৃতীয় ওভারেই জাম্পার হাতে বল। শেষ বলে বাউন্ডারির মার। সৌম্যর তখনও ক্রিজে কঠিন অবস্থা। মিস টাইমিং, ফুটওয়ার্ক সবটাই মিলে এলোমেলো সৌম্য। হ্যাজলউডকে জায়গা নিয়ে কাট করতে গিয়ে নিজের স্টাম্পকেই নিশানা বানালেন। ২ রান নিয়ে বিদায়। ক্রিজে সাকিব। ব্যাট চালিয়েছেন নাইম। পঞ্চম ওভারে আবারও লেগ সাইডে ফ্লিপ শটে সিক্স। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে লেগে বাউন্ডারি এন্ড্রু টাইকে। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৩।
অস্ট্রেলিয়ার টস জয়-
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এটাই প্রথম দু'দলের মাঝের মধ্যকার কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। করোনা মহামারির মধ্যে বেশ সতর্কতা ও টিম অস্ট্রেলিয়ার জুড়ে দেয়া বিভিন্ন শর্তের ভেতরেই শুরু হয়েছে আজ এই সিরিজ।
দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এই সিরিজ খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়াকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এর আগে চারবার দেখা হয়েছে অজিদের সাথে। চারবারই বিশ্বকাপে। একটিতেও জয় নেই তামিম-সাকিবদের। ওয়ানডেতে ২১ বারের দেখায় জয় একটিতে। কার্ডিফে নেটওয়েস্ট সিরিজের ৬ ম্যাচে একটি জয়ের পর রঙিন পোষাকে আর জয় নেই টাইগারদের। । টেস্টের ছয় ম্যাচের মধ্যে একমাত্র জয়টি এসেছে ২০১৭ সালে চট্টগ্রামে।
উভয় দলের একাদশ-
বাংলাদেশঃ
মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, সাকিব আল হাসান, নুরুল হাসান (উইকেটকিপার), আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ
অস্ট্রেলিয়াঃ
অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপি, মিচেল মার্শ, ময়জেস হেনরিকস, ম্যাথু ওয়েড (অধিনায়ক, উইকেটকিপার), অ্যাশটন টার্নার, অ্যাশটন অ্যাগার, মিচেল স্টার্ক, অ্যান্ড্রু টায়, অ্যাডাম জাম্পা, জশ হ্যাজলউড