ছেলেকে জামিনে ছাড়িয়ে নেবেন শাহরুখ

শাহরুখের ছেলেকে নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস)-আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে। পরোয়ানায় লেখা রয়েছে, ৩০ গ্রাম কোকেন, ২১ গ্রাম চরস, ২২টি এমডিএমএ বড়ি এবং নগদ ১,৩৩,০০০ টাকা উদ্ধার হয়েছে মু্ম্বই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরীর টার্মিনালে।

শনিবার রাতেই খবর আসে গোয়াগামী এক প্রমোদতরীতে এনসিবি তল্লাশি চালিয়েছেন। তাতে বলিউড তারকা-সন্তানও আটক হয়েছেন। কিন্তু নাম তখনও প্রকাশ্যে আসেনি।

রোববার সকালে আরিয়ানের নাম জানা গেল। আরিয়ান ছাড়াও মোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেককেই জেরা করা হয়েছে সকাল থেকে। তার পর বিকেলে আরিয়ান এবং আরও দু’জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

এদিকে এই গ্রেফতারের পর আরিয়ান খানক ছুটিয়ে নিতে তার বাবা নায়ক শাহরুখ খানের সব ধরনের তৎপরতা চলছে।

নিয়োগ করেছেন নামিদামি আইনজীবী। জামিন আবেদনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।

প্রমোদতরীর পার্টিতে মাদক সেবনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আরিয়ান খান। তাঁর লেন্স রাখার বাক্স থেকে উদ্ধার হয়েছে মাদক। তল্লাশির পর এমনই জানিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।

আরিয়ানকে সোমবার বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নিয়ে গেলেই তাঁর হয়ে জামিনের আবেদন করবেন আইনজীবীরা। সোমবারই অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলা হবে।

তবে যে ভাবে মাদক লুকিয়ে ওই প্রমোদতরীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তা দেখে রীতিমতো অবাক তদন্তকারীরা। এনসিবি সূত্রে খবর, স্যানিটারি প্যাড, ওষুধের বাক্স, জামাকাপড়, অন্তর্বাসের সেলাইয়ের মধ্যেও রাখা ছিল মাদক। খুব সহজে যাতে মাদকের হদিশ না পাওয়া যায়, মূলত সেই কারণেই সেগুলিকে এমন সব জায়গায় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের।

এই ঘটনায় আরও কারা যুক্ত, কোথা থেকে এত পরিমাণ মাদক এল, কারা তা নিয়ে প্রমোদতরীতে গেলেন—এ সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আরিয়ানের সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন, তারা হলেন মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ শেঠ মার্চান্ট। আরিয়ানের সঙ্গে বাকি দু’জনও সোমবার পর্যন্ত এনসিবি-র হেফাজতে থাকবেন। গ্রেফতারের পর তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Share this news on: