বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক আর নেই।
আজ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে বেইলি রোডের নিজ বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুর সংবাদটি নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ের জামাই (হৃদি হক) ও অভিনেতা লিটু আনাম। তিনি জানান, ড. ইনামুল হক বাসাতেই ছিলেন, হঠাৎ পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর দ্রুত তাকে শান্তিনগর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাসিম আরও জানান, ড. ইনামুল হকের মরদেহ এখন কোয়ান্টামে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে গোসল করানো শেষ হলে বেইলী রোডে নেওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তার মরদেহ শিল্পকলা একাডেমিতে রাখা হতে পারে।
ড. ইনামুল হকের অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৬৮ সালে। তার প্রথম অভিনীত টেলিভিশন নাটক ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’। এটি প্রযোজনা করেন মুস্তাফা মনোয়ার। নাট্যকার হিসেবে তার পথচলা শুরু ওই বছরই। তার প্রথম লেখা নাটকের নাম ‘অনেকদিনের একদিন’। আবদুল্লাহ আল মামুন নাটকটি প্রযোজনা করেছিলেন টেলিভিশনের জন্য।
তার লেখা আলোচিত টিভি নাটকের মধ্যে রয়েছে 'সেইসব দিনগুলি' (মুক্তিযুদ্ধের নাটক), 'নির্জন সৈকতে' ও 'কে বা আপন কে বা পর'। মঞ্চের জন্য তার লেখা প্রথম নাটকের নাম 'বিবাহ উৎসব'। এটি লিখেছিলেন উদীচীর জন্যে। তার নিজ দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের জন্য প্রথম লেখা নাটকের নাম 'গৃহবাসী'। ১৯৮৩ সালে লেখা হয় নাটকটি। ঢাকার মঞ্চে বেশ আলোচিত নাটক এটি।