চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় ভোলার মেঘনা নদী থেকে জেলেদের জাল জব্দ করে অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে।
নিরীহ জেলেদের বৈধজাল জব্দ করে চাঁদা দাবি করে নৌ-পুলিশ। সেই চাঁদা না দেয়া জেলেদের জাল অন্য জায়গায় বিক্রি করে দেয় নামমাত্র মূল্যে।
১২ই নভেম্বর ভোলা সদরের রাজাপুর ও পূর্ব-ইলিশা ইউনিয়নের ৬৫ জন জেলে ইলিশ ধরার ছান্দিজাল নিয়ে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। একপর্যায়ে বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ নৌ-থানার এক কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৭/৮জন নৌ-পুলিশ সদস্য জেলেদের ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি জাল জব্দ করে।
অভিযোগ জালগুলো ছেড়ে দিতে পুলিশ ছয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু চাঁদা না দেওয়ায় জালগুলো তুলে নিয়ে যায় তারা।
পরে জালগুলো থানা বা নৌক্যাম্পে না নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের লালখারাবাদ মাছঘাটে নিয়ে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ করেন জেলেরা।
জেলেরা অভিযোগ করেন, পুলিশ কোন রকমের অভিযান ছাড়াই তাদের জালগুলো জব্দ করে চাঁদা দাকি করে। টাকা দিতে না পারায়, সেগুলো অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।
মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মৎস্যবিভাগ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়া অন্য কারোর নদীতে অভিযান করার বৈধতা নেই বলে জানান, ভোলার সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন।
এই ঘটনার দায় নিতে রাজি নয় ভোলা নৌ পুলিশ, তবে কালিগঞ্জ নৌ পুলিশ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
ভোলায় দুই লক্ষাধিক জেলে নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।