টিকা নিন অথবা মরতে হবে: জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চলতি শীত মৌসুমের শেষে টিকা নিয়ে সুস্থ হতে হবে অন্যথায় মরতে হবে বলে সতর্ক করেছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পান।
নাগরিকদের টিকা নেয়ার গুরুত্ব বোঝাতে

সোমবার বার্লিনের এক সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 

করোনার চতুর্থ ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশটিতে দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ। মহামারি শুরুর পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখছে দেশটি। হাসপাতালগুলোতে দেখা দিয়েছে শয্যা ও আইসিইউ সংকট।

এদিকে মোট জনসংখ্যার ৬৮ শতাংশকে পূর্ণ ডোজ দিয়েছে জার্মানি। যা পশ্চিম ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। 

সংক্রমণ বাড়ায় এরই মধ্যে টিকা না নেয়া ব্যক্তিদের উপর বেশ কিছু বিধি নিষেধ আরোপ করলেও নিয়ন্ত্রণে আসছেনা পরিস্থিতি। স্পান জানান, সবার জন্য টিকা নীতি বাধ্যতামূলক না করলেও নৈতিক দায়িত্ব থেকেই নাগরিকদের টিকা নেয়া উচিত। 

শুধু জার্মানি নয়, শীত মৌসুমের শুরুতেই পুরো ইউরোপে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। সংক্রমণ ঠেকাতে ইতিমধ্যে লকডাউনে গেছে অস্ট্রিয়া। ইউরোপজুড়ে করোনার নতুন করে বিস্তারে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিবিসিকে সংস্থাটির আঞ্চলিক পরিচালক হ্যান্স ক্লুগ বলেছেন, ইউরোপে করোনা সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা খুব চিন্তিত। জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী মার্চ মাস নাগাদ ইউরোপে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যুর রেকর্ড হতে পারে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন সময় করোনার সংক্রমণ কমবেশি হয়েছে। তবে চলতি বছরের মে মাসের শেষের দিকে দেশে করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে।

একই বছরের ২০শে জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। 

Share this news on:

সর্বশেষ