ইউপি ও পৌরসভায় সারাদেশে সহিংসতায় নিহত ৯

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনেও বিজিবি সদস্যসহ প্রাণ গেছে ৯ জনের।  নীলফামারী, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে সহিংসতার ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক।


নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গাঢ়াগ্রাম ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় সংঘর্ষে রুবেল হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্য নিহত হন। নরসিংদীর রায়পুরায় চান্দেরকান্দি ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আরিফ মিয়া নামে এক সিএনজি অটোরিকশা চালক মারা গেছেন।

এছাড়া উত্তর বাখরনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ফরিদ মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছে। লক্ষ্মীপুরে সহিংসতায় মাথায় আঘাত পেয়ে ইছাপুরা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব নিহত হয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বিজয়ী মেম্বার রাবেয়া বেগমের ভাগনে শাকিল মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, পঞ্চসার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের খনগাঁও ইউনিয়নে ভোট গণনার সময় প্রার্থীদের সমর্থকরা পুলিশ ও বিজিবির সাথে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় গুলিতে নিহত হন মোহম্মদ মোজাহারুল ও সাহাবুলি হোসেন নামে দুই ব্যক্তি।

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ গাঢ়াগ্রাম ইউনিয়নে ভোট গণনার সময় সংঘর্ষে রুবেল হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নরসিংদীর রায়পুরায় ভোট গণনার সময় সহিংসতায় নিহত হন আরিফ নামে এক যুবক। মুন্সিগঞ্জের বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণ যায় আরও ২ জনের। এছাড়া মুন্সিগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় একজনের মৃত্যুর অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ভোটগ্রহণ চলার সময় সংঘর্ষে নিহত হন ইছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি সাজ্জাদুর রহমান। এদিকে, ঢাকার কেরানীগঞ্জে হযরতপুর ইউনিয়নেও রোববার রাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।অবরুদ্ধ ছিলেন দুই ম্যাজিস্ট্রেটসহ নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত পাঁচজন।
এছাড়া সংঘর্ষ হয়েছে বেশিরভাগ ইউপি নির্বাচনের কেন্দ্রে।  

Share this news on:

সর্বশেষ