গত নভেম্বর মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৭৯টি। সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪১৩ জন, আহত হয়েছেন ৫৩২ জন।
মোট মৃত্যুর ৪৪.৫৫ শতাংশই হয়েছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা থেকে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১.৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত হয়েছেন ৯৬ জন।
গত মাসে ৭টি নৌ-দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত এবং ৫ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ১১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং ২ জন আহত হয়েছেন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এটি জানানো হয়েছে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৬টি (৪১.১৬ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৩১টি (৩৪.৫৬ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৫৩টি (১৩.৯৮ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৩৫টি (৯.২৩ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (১.০৫ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনাগুলোর ৮৯টি (২৩.৪৮ শতাংশ) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩৩টি (৩৫.০৯ শতাংশ) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ৯১টি (২৪ শতাংশ) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেওয়া, ৫৯টি (১৫.৫৬ শতাংশ) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ৭টি (১.৮৪ শতাংশ) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ ২১.৪২ শতাংশ, ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রাম ট্রাক ৩.৮৪ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-জিপ ৫.৩১ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১১.৫৩ শতাংশ, মোটরসাইকেল ৩০.৫৮ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-মিশুক-লেগুনা-টেম্পু) ১৯.৯৬ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-আলমসাধু-পাখিভ্যান-বোরাক-মাহিন্দ্র-টমটম) ৪.৩৯ শতাংশ এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল ১.৯৩ শতাংশ।