প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে গণমাধ্যমে উঠে আসা যেকোনো অনিয়ম-সংকট তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
এ সময় সিইসি বলেন,প্রার্থীরা সহনশীল না হলে কমিশনের পক্ষে নির্বাচনে সংঘর্ষ, সহিংসতা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কুমিল্লা নির্বাচনে রাজনৈতিক চাপ ছিল না উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনও সন্তোষজনক হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন,সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে কাজ করার সুযোগ দেননি বলেই তিনি সমালোচনা করেন। অভিযোগ করেন, কমিশনে বদিউল আলম মজুমদারের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়মের।
এসময় জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ইসিতে উনি ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। উনি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। মাহবুব কখনও আইসিইউতে কখনও সিসিইউতে ছিলেন। এছাড়া উনি সিঙ্গাপুর, ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন। এসব চিকিৎসার ব্যয় কমিশন থেকে করা হয়। এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা।
এছাড়া, সাবেক সিইসি শামসুল হুদা হঠাৎ করেই ছবক শিখাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন সিইসি। বলেন, তিনি সুজনকে সঠিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনে কাজ করতে দেননি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা থাকলেও নির্বারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে পারেনি।