ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির বিরুদ্ধে তদন্তে জাতিসংঘ

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন বিচারক ও তদন্তকারী খোলা চিঠিতে সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক দূত মিশেল বেশেলেটের নেতৃত্বে একটি কমিটির আহ্বান করেছে। ইতিমধ্যে সেই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন সাবেক ও বর্তমান ৪৬০ সাবেক কর্মকর্তা।

গত শতকের আশির দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় ইসলামি কট্টরপন্থি সরকারের বিরোধিতায় তৎপর হয়ে উঠেন গণতন্ত্রপন্থীরা। যুদ্ধ শেষে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতের অভিযোগে তথাকথিক রিভ্যুলুশনারি কোর্টে সংক্ষিপ্ত বিচারে কয়েক হাজার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। সে সময় রিভ্যুলুশনারি কোর্টের প্রসিকিউটর ছিলেন রাইসি। এই হত্যাকাণ্ডে প্রধান দুই অভিযুক্তের একজন তিনি।

২০১৮ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মানবাদিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সরকারি তথ্য অনুযায়ী তথাকথিত রেভ্যুলুশনারি আদালতের মাধ্যমে ৫ হাজার গণতন্ত্রপন্থী নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল, তবে বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি।

জাতিসংঘের খোলা চিঠিতে বলা হয়, ‘ওই হত্যাকাণ্ডে প্রধান ২ অভিযুক্ত-ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং বিচার বিভাগের প্রধান গোলাম হোসেইন মোহসেনি এজেই এখনও দায়মুক্তি উপভোগ করছেন।

২০২১ সালের ১৯শে জুন ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। সেখানে সর্বাধিক ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন ইব্রাহির রাইসি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি।

২১শে জুন যখন এক সংবাদ সম্মেলনে রাইসিকে ১৯৮৮ সালের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখন উত্তরে রাইসি বলেছিলেন, যদি একজন বিচারক, একজন প্রসিকিউটর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করে, তখন তাকে পুরস্কার দেয়া উচিত। আমি গর্বিত যে, জীবনে যে অবস্থানেই আমি থেকেছি- মানবাধিকার ও জনগণের নিরাপত্তাকে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি।

Share this news on: