ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে বিপুলসংখ্যক রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর চলছে উত্তেজনা। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই চলমান ইউক্রেন সংকট ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এরই মধ্যে এ সংকট নিয়ে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ওয়াশিংটন ও মস্কো যার যার অবস্থান ঢাকা-কে জানিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বলছে, ইউক্রেন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে কোনো পক্ষকেই আলাদা করে সমর্থন করা হবে না। ঢাকা চাইছে, কূটনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে এ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রথমে ইউক্রেন ইস্যুতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার দেশে ফিরে যাওয়ার আগে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানিয়ে ডিমারশে লেটার (ইউক্রেন পরিস্থিতির বিস্তারিত শেয়ার করে নোট) দেয় ঢাকাকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (ঢাকা) জানুয়ারি মাসের শুরুর দিন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঢাকার অবস্থান জানতে চান।
ইউক্রেন নিয়ে ঢাকার অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া, যার যার অবস্থান আমাদের জানিয়েছে। আমরা শুনতেছি, এ পর্যন্তই। আমরা অত শক্তিশালী দেশ না যে, এ সম্পর্কে হ্যাঁ বা না কিছু করতে (বলতে) পারব। আমরা শুধু শুনতেছি। যারা এটা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি করছেন, তারা শক্তিশালী দেশ। আমরা এ পক্ষে-সে পক্ষে যেতে ভয় পাই। সুতরাং আমরা চুপ করে আছি।’
‘আমরা কোনো পক্ষেই যাচ্ছি না। তবে আমরা আশা করব, আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে যেন নিষ্পত্তিটা হয়। আমরা সবসময় শান্তিপ্রিয়। আমরা শান্তি চাই।’
গত মঙ্গলবার ইউক্রেন ইস্যুতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন সমস্যার সমাধান কেবল সংশ্লিষ্ট পক্ষের মধ্যে সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব। বাংলাদেশ তাই সংলাপ ও সহযোগিতার চেতনা সমুন্নত রেখে এ সংকট নিরসনে সবপক্ষকে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানায়।