ঢাকার মিরপুরের একটি মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে দেশের কওমি শিক্ষার্থীদের টিকাদান শুরু হলো। প্রাথমিকভাবে দেশের বাদ পড়া বিভিন্ন শ্রেণির ১ কোটি ২১ লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সারা দেশের ৩০ লাখ কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হবে।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ও অধিদপ্তরের করোনার টিকাবিষয়ক কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রথম দিন টিকা দেয়া হবে ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীকে।
জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের কওমি মাদ্রাসায় টিকা কেন্দ্র করা হয়েছে। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের তালিকা অনুযায়ী এই টিকা দেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাদের দেয়া হবে ফাইজারের টিকা।
এ ব্যাপারে সরকারের করোনা টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. শামসুল হক জানান, রোববার থেকে ঢাকায় ভাসমান মানুষ ও ঢাকাসহ সারা দেশে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে। পরে বাদ পড়া অন্য জনগোষ্ঠীদেরও টিকা দেয়া হবে।
জাতীয় কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া শুরু হচ্ছে। ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশেই রোববার টিকা আরম্ভ হচ্ছে। ৩০০ মাদ্রাসার টিকা কেন্দ্রে টিকা দেয়া শুরু হবে।
দুই মাস আগে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। তখন একই বয়সী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে। সরকারি হিসাবে দেশে কওমি মাদ্রাসা আছে ১৯ হাজার ১৯৯ টি। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৪ লাখের বেশি।
দেশে ভাসমান মানুষের সঠিক সংখ্যা জানা নেই। তাঁদের জন্মসদন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও স্থায়ী ঠিকানাও নেই। তাই তাঁদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন। এ জন্য ভাসমান মানুষকে জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির টিকা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।এই টিকার এক ডোজই যথেষ্ট।