'ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্র হামলা চালাতে পারেন পুতিন'

দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় ইউক্রেনে জীবাণু অস্ত্রের হামলা চালাতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ লক্ষ্যে কিয়েভের বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ তৈরির পরিকল্পনা করছে মস্কো।
সোমবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে নতুন করে এ অভিযোগ সামনে এনেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এসময়, যুদ্ধের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বড় ধরনের রুশ সাইবার হামলার শিকার হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি। এক বিবৃতিতে, ইউক্রেনে রুশ সেনাদের যুদ্ধপরাধের প্রমাণ সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।

এদিকে মারিওপোল, কিয়েভ, হারকিভসহ ইউক্রেন জুড়ে অব্যাহত রুশ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। তিনি বলেন, রুশ সেনারা শহরগুলোকে ছাইয়ে পরিণত করে দিলেও তাদের সামনে মাথা নোয়াবে না ইউক্রেন। এসময় যুদ্ধ বন্ধে আবারও পুতিনকে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানান তিনি।

যুদ্ধে ইউক্রেনের অন্তত ২১ উদ্ধারকর্মীর নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে কিয়েভ। মেলিটোপোল শহরে এক গণমাধ্যমকর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে। রাশিয়ার স্থানীয় একটি গণমাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত রুশ সেনার সংখ্যা নয় হাজার ৮শ'র বেশি বলে প্রতিবেদন প্রকাশের পরপরই তা সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে 'উগ্রবাদী' বলে ঘোষণা করেছে মস্কো।

অন্যদিকে, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর সুমির একটি রাসায়নিক প্ল্যান্ট থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২১ মার্চ) সুমির আঞ্চলিক গভর্নর দিমিত্র ঝিভিৎস্কি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সুমায়খিমপ্রম রাসায়নিক কারখানায় স্থানীয় সময় ৪টা ৩০ মিনিট থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস বের হতে শুরু করে। রাসায়নিক কারখানাটির পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গ্যাস ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। তবে কী কারণে গ্যাস নির্গত হচ্ছে, তা উল্লেখ করেননি ঝিভিৎস্কি। লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কথাও জানান তিনি।

সুমি অঞ্চলটি এখনো রুশ সেনাদের দখলে। এদিকে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের ২৬তম দিনেও হামলা অব্যাহত রয়েছে রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াই গড়িয়েছে ২৪তম দিনে। এরই মধ্যে কয়েকশ মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছেন প্রায় ২৭ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। অন্যদিকে, হার মানতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

Share this news on: