চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ময়ূরপঙ্খী বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে কমান্ডো অভিযানে নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব।
নিজেদের সংরক্ষিত ক্রিমিনাল ডাটাবেজ অনুযায়ী র্যাব দাবি করছে, নিহতের নাম পলাশ আহমেদ। তিনি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের দুধঘাটা এলাকার পিয়ার জাহান সরদারের ছেলে। সে র্যাবের তালিকাভুক্ত অপরাধী।
সোমবার এক ক্ষুদে বার্তায় তার এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব বলছে, রোববারের কমান্ডো অভিযানে নিহত ওই যুবকের আঙুলের ছাপ র্যাব ক্রিমিনাল ডেটাবেইসের একজন অপরাধীর সঙ্গে মিলে যায়। সেখানে রক্ষিত তথ্য অনুযায়ী, তার নাম মো. পলাশ আহমেদ। তার বাবার নাম পিয়ার জাহান সরদার। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের পিরিজপুরে তার বাড়ি।
বিমানের পেসেঞ্জার লিস্টের বরাত দিয়ে র্যাব বলছে, নিহত ওই যুবক ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে চড়েন চট্টগ্রামে যাওয়ার জন্য। চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বোয়িং-৭৩৭ বিমানটির।
এ ছাড়া ময়ূরপঙ্খী বিমানটির (বিজি-১৪৭ ফ্লাইট) যাত্রী তালিকা অনুযায়ী, পলাশ আহমেদ অভ্যন্তরীণ রুটের (ঢাকা-চট্টগ্রাম) যাত্রী ছিলেন। তার নাম উল্লেখ ছিল AHMED/MD POLASH। সিট নম্বর ১৭এ।
এর আগে রোববার ময়ূরপঙ্খী বিমানটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ছেড়ে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরই বিমানটি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টার টান টান উত্তেজনার পর বিমান ছিনতাইচেষ্টার অবসান ঘটে। সন্ধ্যা ৭টা ২৪ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মাত্র আট মিনিটের কমান্ডো অভিযানে বিমানটিতে থাকা অস্ত্রধারী তরুণ নিহত হন।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কমান্ডো অভিযানের পর সেনা ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা শুধু বলেছিলেন, নিহত ব্যক্তির নাম ‘মাহাদী’, তার বয়স ২৬/২৭ বছর।
আরও পড়ুন...
বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা: সন্দেহভাজন গুলিতে নিহত
‘ছিনতাইয়ের’ কবলে বাংলাদেশ বিমান
টাইমস/এইচইউ