এক মাসেও থামছে না রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। শান্তি আলোচনায়ও নেই কোন অগ্রগতি। সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ বেশ কয়েকটি শহরে দেখা দিয়েছে খাবার ও পানি সংকট।
প্রাণহানি ও মানবিক সংকটের এক মাসেও যুদ্ধ পরিস্থিতির কোনো উন্নতি নেই। অগ্রগতি নেই শান্তি আলোচনায়। এছাড়া, ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার এক মাসের মাথায় রুশ সৈন্যরা বড় কোন শহর দখল করতে পারেনি। একমাত্র খেরসন শহরের পতন হয়েছে। মারিউপোল ও খারকিভ শহর দখলের জন্য রুশ বাহিনী সেখানে তাদের গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে।
যুদ্ধের এক মাস উপলক্ষ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায়,' অবিলম্বে যুদ্ধ থামাতে বিশ্ববাসীকে রাজপথে নেমে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান জেলেনস্কি'।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'রাশিয়া এরই মধ্যে তাদের স্বার্থ রক্ষায় তোড়জোড় শুরু করেছে। এগুলো যুদ্ধের স্বার্থ। আমাদের দৃঢ় অবস্থান এ তিন শীর্ষ সম্মেলনে তুলে ধরা হবে। ব্রাসেলসে আজ আমরা দেখতে পারবো, কে আমাদের বন্ধু, কে অংশীদার, আর কে টাকার জন্য আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে'।
এ পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছে ন্যাটো। বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ায় পাঠানো হবে আরও সেনা। যুদ্ধে রাশিয়ার ৭ থেকে ১৫ হাজার সেনা নিহত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে ন্যাটো। এছাড়া ইউক্রেনকে নতুন করে অস্ত্র ও সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইডেন।
ক্ষমতাধর দেশগুলোর জোট জি টুয়েন্টি থেকে রাশিয়াকে বহিষ্কার করতে পোল্যান্ড প্রস্তাব দিলেও, ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সম্মেলনে পুতিন যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত।
এদিকে, 'রাশিয়ার সঙ্গে যেসব দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নেই তাদের কাছে রুবলে গ্যাস বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। এর আগে, ইউক্রেনে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধে জড়িত রয়েছে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।