ফিটনেসবিহীন একটি লঞ্চও চলতে দেয়া হবে না: বিআইডব্লিইটিএ

ঈদে চাহিদা বেশি থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ও ফিটনেসবিহীন লঞ্চগুলো নৌরুটে নামাতে প্রস্তুত করছেন মালিকরা। যদিও তারা বলছেন, আনন্দময় পরিবেশে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতেই লঞ্চে রঙ ও মেরামত করা হচ্ছে। বিআইডব্লিইটিএ'র পক্ষ থেকে ছাড় না দেয়ার আশ্বাস দিলেও ঢাকা শিপ বিল্ডার্স গ্রুপ বলছে, কিছু অসাধু কর্মকর্তা অর্থের বিনিময়ে দুর্বল জাহাজের ফিটনেস দেয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

হাতুড়ির শব্দগুলোই বলে দিচ্ছে উৎসবকে কেন্দ্র করে কতোটা ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। মূলত লঞ্চের ডেকে ও তলদেশে জমা মরিচা তোলার জন্যই তাদের এ বিরামহীন চেষ্টা।

দেশের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এভাবেই ব্যবহার অনুপযোগী লঞ্চগুলো ঠিকঠাক করতে এখন সরগরম বুড়িগঙ্গা তীরের ডকগুলো।

কেউ ভাঙাচোরা অংশ ঠিক করছেন ঝালাই করে, কেউবা আবার ফিটনেসের দুর্বলতা ঢাকতে লাল-সাদা রঙে প্রলেপ দিচ্ছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে ফিটনেসবিহীন একটি লঞ্চও চলতে দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিইটিএ।

ঢাকা নদী বন্দরের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পরিচালক (ট্রাফিক) শেখ মো. সেলিম রেজা বলেন, 'সার্ভে মেয়াদ ছাড়া কোনো লঞ্চকে এবার আমরা চলতে দিব না। আসলে আমরাতো একটা সিস্টেম প্রয়োগ করি, যেটা জনগণের জন্য, ব্যবসায়ীদের জন্য ভালো কিছু চিন্তা করা। হয়ত ব্যবসায়ীদের ভিতরে এখনো সেই স্বদিচ্ছাটা জেগে উঠেনি। তবে আমরা সর্বচ্চ চেষ্টায় আছি।'

তবে ফিটনেস বিহীন জাহাজ চলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকা শিপ বিল্ডার্স কর্তৃপক্ষ বলছে, ফিটনেস বিহীন কোন জাহাজ নদীতে চলছে না।

ঢাকা শিপ বিল্ডার্স গ্রুপের সভাপতি মো. নাজমুল হক বলেন, 'সবার চোখে শুধু জাহাজটাই পড়ে। ফিটনেস ছাড়া কোনো জাহাজ নদীতে চলছে না। সৌন্দর্য বুদ্ধির জন্য কেবল মাত্র রং করা হয়।'

এবার ঈদে দুইশ'র বেশি লঞ্চে ঢাকা থেকে ৪৩টি নৌ রুটে ৫০ লাখের বেশি মানুষ বাড়ি ফিরবেন

Share this news on: