ঈদে বাড়িমুখী মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নবনির্মিত শফিপুর ও নাওজোর ফ্লাইওভার। এতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উত্তরবঙ্গগামী মানুষের যাতায়াত অনেকটা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকালে গাজীপুর মহানগরের নাওজোর ও কালিয়াকৈর উপজেলার শফিপুর বাজারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ওপর নির্মিত এ দুটি ফ্লাইওভার যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
উত্তরাঞ্চলের ২৩টি জেলার ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা, ভোগড়া বাইপাস ও চান্দনা চৌরাস্তা। প্রতি ঈদে এসব সড়কপথে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। যানজটে পড়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উড়ালসড়ক দুটির সংযোগ সড়ক নির্মাণ হলেও সেখানে কার্পেটিং করা হয়নি। লাইটিংসহ বেশ কিছু কাজ এখনো বাকি। এসব কাজ শেষ হতে আরও প্রায় দুই মাস লেগে যেতে পারে। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে ঈদযাত্রা। এই সময়ে যাতে যানজট না হয়, সেই চিন্তা করে যানবাহন চলাচলের জন্য উড়ালসড়ক দুটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুরে ছোট-বড় প্রায় পাঁচ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে। এসব কারখানার বেশির ভাগ শ্রমিক উত্তরবঙ্গের। এ ছাড়া ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে উত্তরবঙ্গগামী বাসগুলো ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে যেতে হয়। একদিকে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ঘরমুখী মানুষ নবীনগর হয়ে চন্দ্রায় প্রবেশ করেন। আর গাজীপুর সদর, টঙ্গী, শ্রীপুরের শ্রমিকেরা গাজীপুর চান্দনা চৌরাস্তা ও কোনাবাড়ী হয়ে প্রবেশ করেন চন্দ্রা ত্রিমোড়ে। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার খ্যাত গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় হয়ে ঈদে ২৩টি জেলার মানুষ যাতায়াত করেন। যে কারণে এখানে অনেক বেশি ভোগান্তি হয়।
সালনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, ওই পথে যানবাহন বাড়লেও যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে জন্য প্রকল্প কর্মকর্তাদের উড়ালসড়ক দুটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা উড়ালসড়ক দুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেন।