ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর পানি ঢাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক এই নদীর পানির ন্যায্য পাওনা নিশ্চিতে তাই দীর্ঘদিন ধরেই চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু যে কারণেই হোক, বাংলাদেশের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি এখনও।
আর তাই পরোক্ষভাবে বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশের সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দীর্ঘ ১১ বছর ধরে তিস্তা চুক্তি আটকে থাকাকে লজ্জাজনক বলেও অভিহিত করেছেন তিনি। সোমবার (৩০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ নিয়ে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের মধ্যেই ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় নেওয়ার চেষ্টা করছে ভারত। ঢাকা ও নয়াদিল্লি জুন মাসে উভয় পক্ষের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক যৌথ পরামর্শমূলক কমিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং এটাই জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্ভাব্য ভারত সফরের পথ খুলে দেবে।
কিন্তু দুই দেশের মধ্যে একটি বিতর্কিত সমস্যা অমীমাংসিত রয়ে গেছে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। আর তা হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি। এই পরিস্থিতিতে দিন দু’য়েক আগে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের গুয়াহাটিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নদী কনফারেন্স শুরু হয়।