উচ্চ আদালতের ‘জিরো টলারেন্স’

দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ মনোভাব দেখাচ্ছেন উচ্চ আদালত। আদালত বলেছেন, অর্থপাচার ও দুর্নীতি হত্যার চেয়েও বিপজ্জনক অপরাধ। হত্যা একটি পরিবারকে ধ্বংস করে মাত্র, কিন্তু অর্থপাচার বা দুর্নীতি দেশ ও সমাজকে ধ্বংস করে। তাই দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের কোনো ছাড় নয়।

আপিল বিভাগ বর্তমান সময়ে অর্থপাচার অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, দুর্নীতির মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা, ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের জামিন বাতিল করা, একই সঙ্গে জামিন দেওয়া বিচারককে সতর্ক করা এবং ই-কমার্স ব্যবসায় মানিলন্ডারিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ উচ্চ আদালতের জিরো টলারেন্স নীতির বহিঃপ্রকাশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, উচ্চ আদালত বিভিন্ন আদেশের মাধ্যমে এ বার্তা দিচ্ছেন যে সমাজের প্রভাব ও বিত্তশালী যেই হোক দুর্নীতি ও অর্থপাচার করে পার পাওয়া যাবে না। এরপরও যদি তারা সতর্ক না হন তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

আপিল বিভাগ বর্তমান সময়ে অর্থপাচার অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সম্প্রতি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টিকে জামিন না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া, দুর্নীতির মামলায় হাজি সেলিমের ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখা, ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের জামিন বাতিল করা, একই সঙ্গে জামিন দেওয়া বিচারককে সতর্ক করা এবং ই-কমার্স ব্যবসায় মানিলন্ডারিংয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ উচ্চ আদালতের জিরো টলারেন্স নীতির বহিঃপ্রকাশ

এ বিষয়ে দুদকের প্রধান আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, উচ্চ আদালত কিংবা বিচারিক আদালত সবসময় দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখান। বিচারিক আদালতে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ রায় হয়েছে। বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতির সাজা হয়েছে। ডেসটিনির মামলায় একজন সাবেক সেনাপ্রধানের সাজা হয়েছে। পুলিশের ডিআইজি, দুদকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও রক্ষা পাননি। দুদকের ওই কর্মকর্তা হাইকোর্টে জামিন চেয়েও পাননি।

সাম্প্রতিক সময়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির আগাম জামিন খারিজ করে জেলে পাঠানো, সম্রাটের জামিন বাতিল করে দেওয়া— সবকিছু মিলিয়ে এটা আপনাকে ধরে নিতে হবে যে আদালত সবসময়ই দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। এখানে হাই প্রোফাইল, লো প্রোফাইল বলে কিছু নাই। যে যত বড়ই হোক না কেন আদালতের কাছে সবাই সমান। আমি মনে করি দুর্নীতিবাজরা এখন থেকে আরও সজাগ হবেন এবং দুর্নীতি থেকে সজ্ঞানে তারা দূরে থাকবেন। বাংলাদেশে অর্থপাচার বর্তমানে একটি ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। অর্থপাচার রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়েছে। আমি মনে করি, উচ্চ আদালত যে আদেশগুলো দিচ্ছেন তা আমাদের জন্য অত্যন্ত শিক্ষণীয়। এতেও যদি তারা শিক্ষা না নেন তাহলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’

Share this news on: