জনি ডেপের সাবেক স্ত্রীকে দেড় কোটি ডলার জরিমানা

সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলায় জিতেছেন হলিউড তারকা জনি ডেপ। আদালত তার সাবেক স্ত্রীকে ১৫ মিলিয়ন বা দেড় কোটি ডলার অর্থদণ্ড দিয়েছেন।

মাত্র ১৫ মাস সংসার করে ২০১৬ সালের মে মাসে বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউড তরকা দম্পতি জনি ডেপ ও আম্বার হার্ড। বার্তসংস্থা বিবিসির খবরে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সাবেক এই তারকা দম্পতির দুই বছরের দাম্পত্য কতটা তিক্ততার জন্ম দিয়েছিল, তার বিস্তৃত বিবরণ পুরো বিশ্বের সামনে উঠে এসেছে এ মামলার ছয় সপ্তাহের শুনানিতে।

৩৬ বছর বয়সী ‘অ্যাকুয়াম্যান’ তারকা হার্ড মামলার শুনানিতে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলেছেন, কীভাবে তাকে সাবেক স্বামী জনি ডেপের ‘শারীরিক নির্যাতন’ সইতে হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি প্রতি মুহূর্তে হয়রানির শিকার হয়েছি, নিগৃহের শিকার হয়েছি, হুমকির মুখে পড়েছি।

২০১৮ সালে সেই নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট–এ একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন আম্বার হার্ড।

স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, পত্রিকায় এ নিয়ে নিবন্ধ লেখায় সাবেক স্ত্রীর নামে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ান তারকা জনি ডেপ।

পরে হার্ড উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (৩১ মে) মামলার শুনানি শুরু হয়।

পাবলিক ফিগার হয়েও নিজেকে স্বামীর নির্যাতনের শিকার বলে দাবি করেন হার্ড। সেখানে তিনি লেখেন, ‘নির্যাতনের অভিযোগের পরও প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে অভিযুক্ত পুরুষদের রক্ষা করে, বাস্তব জীবনে সেটা দেখার বিরল সুযোগ আমার হয়েছিল।’

যদিও সেখানে তিনি তার সাবেক স্বামীর নাম উল্লেখ করেননি। তবু জনি ডেপ লেখাটির কারণে তার ক্যারিয়ারে ক্ষতি হয়েছে দাবি করে হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।

শেষ পর্যন্ত জুরিরা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, ডেপের সঙ্গে দাম্পত্যের দিনগুলো নিয়ে হার্ড এমন কিছু অভিযোগ এনেছেন যা ‘মিথ্যা’ এবং সাবেক স্বামীর ‘সম্মানহানি’ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।


Share this news on:

সর্বশেষ