মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী রজব আলী গ্রেফতার

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কে এম আমিনুল হক ওরফে রজব আলীকে (৬২) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। শনিবার (২ জুন) রাতে রাজধানীর কলাবাগান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রজব আলীকে তাদের একটি দল গ্রেফতার করেছে। 

র‌্যাব জানায়, আমিনুল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়ে কিশোরগঞ্জ ভৈরব বাংলাদেশের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষকে হত্যা এবং পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করে। 

র‌্যাব আরও জানায়,গ্রেপ্তারকৃত আমিনুল ১৯৭১ সালের ১৮ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর নিকট আত্মসমর্পণ করেন।১৯৭২ সালে অষ্টগ্রাম থানায় দালালি আইনে তিনটি মামলা করা হয় উক্ত মামলায় তার ৪০ বছরের সাজা হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতায়১৯৮১ সালে মাত্র দশ বছর সাজা ভোগ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান। ১৯৮২ সালে জেল থেকে বের হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশ এবং বিভিন্ন দেশসহ পাকিস্তানের গমন করেন।১৯৯৭ সালের নিজ এলাকায় এবং ঢাকায় চলে আসেন। অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দাখিল করা হলে সে আত্মগোপনে চলে যায় এসময় সে গ্রেফতার এড়াতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সহ বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বাসা পরিবর্তন করে বসবাস করতে থাকেন। থ আত্মগোপন থাকাকালীন আসামি বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতেন।  

গ্রেফতারকৃত আসামি' আমি আলবদর বলছি' ও দুই পলাশী দুই মীরজাফর নামে দুইটি বই প্রকাশ করে। যেখানে সে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং হাজার১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এর দিন সহ বিষয়গুলো অত্যন্ত নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের স্বীকৃতি হিসেবে নিজেকে আলবদর দাবি করেন। 

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম থানার আলীনগর গ্রামের রজব আলী ১৯৭০ সালে ভৈরব হাজী হাসমত আলী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ইসলামী ছাত্র সংঘের কলেজ শাখার সভাপতি হন।

Share this news on: