সারা দেশে প্রায় ছয় হাজার কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রোড সাইন ও সংকেত বসাতে ৬৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। ইতোমধ্যে ঢাকার প্রধান কিছু রাস্তায় পরীক্ষামূলক রোড সাইন ও সংকেত বোর্ড লাগানো হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান বলেন, উন্নত বিশ্বের মত মহাসড়কে রোড সাইন ও মার্কিং করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ছয় হাজার কিলোমিটার মহাসড়কে রোডসাইন ও মার্কিংয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি যাচাই শেষে এখন পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে।
ঢাকা সড়ক বিভাগ জানায়, বিমানবন্দর সড়ককে দেশের প্রথম ডিজিটাল সড়ক নির্মাণ এবং ফুটওভার ব্রিজে সাইন-সংকেতযুক্ত বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে নির্দেশনা অনুসরণ করে চলতে সুবিধা হবে যানবাহনগুলোর।
বিমানবন্দর সড়কে প্রথমবারের মত অত্যাধুনিক মেশিনে রোড মার্কিং করা হয়েছে। রাতে গাড়ির লাইটের আলোতেও ভেসে উঠে এসব রোড মার্কিং।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর-সওজ এর অধীনে সারা দেশে মহাসড়ক রয়েছে প্রায় আট হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়ক তিন হাজার ৮২৭ কিলোমিটার এবং আঞ্চলিক মহাসড়ক চার হাজার ২৪৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে দুই হাজার কিলোমিটার মহাসড়কে উন্নয়ন প্রকল্প চলায় বাকি ছয় হাজার কিলোমিটার সড়কে রোড সাইন ও মার্কিং স্থাপন করা হবে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) তথ্য বলছে, দেশের ৬২ শতাংশ জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে যথাযথ সাইন-সংকেতের ব্যবস্থা নেই।
বিমানবন্দর সড়কে রোড সাইন ও মার্কিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবেদ মনসুর বলেন, ‘দূর থেকেও দৃশ্যমান হবে এমন সড়ক নির্দেশক বোর্ড লাগানো হয়েছে। ঢাকা বিমানবন্দর সড়কের সব ফুটওভার ব্রিজ ও ঢাকা-নবীনগর সড়কে পরীক্ষামূলকভাবে এই কাজ করা হচ্ছে। সড়কে রেট্রো রিফ্লেকটিভ রোড মার্কিং করা হয়েছে। সওজ চাইলে সারাদেশের সব সড়কে আমাদের প্রতিষ্ঠান এ কাজটি বাস্তবায়নে করতে আগ্রহী।’
টাইমস/এসআই