কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি উল্লেখ করে কেন গেজেট প্রকাশ নয়, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বুধবার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটকারী বলেন, 'কাজী নজরুল ইসলাম মৌখিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে পরিচিত হলেও লিখিতভাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি নেই। তিনি জানান, ১৯২৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর কলকাতায় একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সর্বভারতীয় বাঙালিদের পক্ষ থেকে কবিকে জাতীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে মৌখিকভাবে ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠালেও, জবাব না পাওয়ায় রিট আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশের দুটি আইনে জাতীয় কবি হিসেবে নজরুলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি আয়োজনে তাকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখও করা হয়। কিন্তু সবই পরোক্ষ স্বীকৃতি। এমন স্বীকৃতি কালের পরিবর্তনে মুছে যেতে পারে। আগামীর প্রজন্ম একদিন হয়তো না-ও জানতে পারে যে, আমাদের জাতীয় কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি আমাদের ইতিহাসের অংশ। ইতিহাস ও জাতীয় স্বীকৃতি কখনও অলিখিত থাকতে পারে না। অলিখিত ইতিহাস ও তথ্য সময়ের বিবর্তনে বিলীন হয়ে যায়। এ জন্য ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সংরক্ষণে রাষ্ট্রকে বিপুল অর্থ বরাদ্দ দিতে হয়।
এছাড়া নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার দাবিতে কবি পরিবারের পক্ষ হতে বারবার দাবি তোলা হয়েছে। নজরুল গবেষক এবং সাহিত্য-সংস্কৃতি সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকেও অনেক দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।