পর্যায়ক্রমে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বা ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

রোববার রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে অর্থ বাড়ছে, এটা আমরা সবাই জানি। প্রতি বছর, প্রতি দশকে আমাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। আমরা বাড়তি রাজস্ব পাব, বাড়তি অর্থ পাব, সেটা দিয়ে পর্যায়ক্রমে আমাদের ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন করতে পারবো।

মন্ত্রী বলেন, সরকার প্রধানের কাছে প্রকল্প পেশ করার দায়িত্বে এই মুহূর্তে আমি আছি। রাষ্ট্রীয় সব ধরনের প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গে আমরা যারা কাজ করছি, আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকব।

বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বা ডেল্টা প্লানে দেশকে ছয়টি হটস্পট-এ বিভক্ত করা হয়েছে। এর একটি উপকূলীয় অঞ্চল। এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন ও ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বেশকিছু সমস্যা ও করণীয় তুলে ধরেন প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, বছরে প্রায় ১ মিলিয়ন টন পলি উপকূলভাগের নদ-নদীর মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ার ফলে ৫ থেকে ১০ বর্গ কিলোমিটার নতুন চর জাগে। আবার নদী ভাঙনের কারণে বিপুল পরিমাণ জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র সমতলের উচ্চতা বাড়ছে। উপকূলীয় প্লাবন ও লবণাক্ততার অনুপ্রবেশের ঝুঁকিও বাড়ছে।

তিনি আরও বলেন, ঝড়বৃষ্টি, জলোচ্ছ্বাস এবং লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ মোকাবিলায় আঞ্চলিক নদী এবং চ্যানেলগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে নদীপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেজিং ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে এবং বন্যার ঝুঁকি কমাতে গ্রামীণ নদী ও খাল পুনরুদ্ধার করা। অভ্যন্তরীণ নদী ও খালগুলোর নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা। স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পূর্বসতর্কীকরণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ এবং দুর্যোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা দরকার বলে জানান তিনি।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: