অফকমের নতুন গবেষণায় দেখা যায়, ২০২০ সালে টিকটক ব্যবহার করে সংবাদ গ্রহণকারী লোকের সংখ্যা ছিলো ৮,০০,০০০, যা ২০২২ এ এসে দাড়িয়েছে ৩.৯ মিলিয়নে। বর্তমানে ইনস্টাগ্রাম তরুণদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদ উৎস যা ২০২২ সালের এক জরিপে পরিলক্ষত হয়।
শতকরা ২৯ ভাগ কিশোর-কিশোরী টিকটক ও ইউটিউব ব্যবহার করছে। তবে প্রিন্টমিডিয়া, টিভি এবং রেডিও এখনও বয়স্কদের মধ্যে দেখার প্রবণতা রয়েছে। পেয়েছে। টিকটকে খবর গ্রহনে আধিকাংশ কিশোর কিশোরীদের বয়স ১৬-২৪ বছরের মধ্যে।
অফকমের গবেষনায় জানা যায়, ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সংবাদ গ্রহণকারী অডিয়েন্সের সংখ্যা স্কাই নিউজ ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রাপ্ত অডিযেন্সের সংখ্যা প্রায় সমান। গবেষণায় অংশ নেওয়া টিকটক ব্যবহারকারীরা বলেছেন যে তারা প্রথাগত মিডিযা থেকে মাত্র শতকরা ২৪ শতাংশ সংবাদ পেয়ে থাকেন এবং শতকরা ৩৭ ভাগ নিউজ তারা অন্যন্য মাধ্যমে পেয়ে থাকেন।
এই সপ্তাহের শুরুর দিকে কার্ডিফের রাস্তায় একজন ছাত্রের দ্বারা অন্য ছাত্রকে হয়রানি করা হযেছে এমন একটি ভিডিও দুই মিলিয়নেরও বেশি মানুষ দেখেছে। এছাড়াও অ্যাম্বার হার্ড এবং জনি ডেপের মধ্যে সাম্প্রতিক মানহানির মামলাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক টিকটক ব্যবহারকারী সেই ভিডিও শেয়ার করে তাদের দর্শকদের কাছে পৌছে দেয়।
অফকমের গ্রুপ ডিরেক্টর ইহ-চৌং এক বিবৃতিতে বলেন, যে কিশোর-কিশোরীরা আজকাল গনমাধ্যম থেকে দূরে সরে তাদের সামাজিক যোগাযেগ মাধ্যমগুলোর নিউজ ফিডগুলো স্ক্রোল করে সংবাদ পেতে পছন্দ করে এবং তরুণরা সোশ্যাল মিডিয়ার খবরগুলিকে কম নির্ভরযোগ্য বলে মনে করলে তারা এই মাধ্যমগুলোতে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। যদিও ৩০ ভাগের কম মানুষ টিকটকের মাধ্যমে পাওয়া খবর বিম্বাস করে।
তিনি আরো যোগ করে বলেন, ইনস্টাগ্রামে শতকরা ৪৫ ভাগ মানুষ বিবিসি, স্কাই নিউজ ২২ শতাংশ, বাজফিড ১৪ শতাংশ মানষ সংবাদ অনুসরণ করে। তাদের মধ্যে আবার ৪৪ শতাংশ মানুষ আবার একজন নির্দিষ্ট সাংবাদিক বা ব্যাক্তিকে অনুসরণ করেন।
অফকমের রিপোর্টে আরো জানা যায়, বিবিসি ওয়ান এবং বিবিসি টু কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ছিলো কিন্তু তা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করে। ৫ বছর আগে সংবাদ গ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো ৪৫ শতাংশ যা এখন ২৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
বেশিরভাগ টিভি সংবাদ প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে শতকরা ৭১ শতাংশ মানুষ । তাদের কাছে সোশ্যাল মিডিয়ার খবর সবচেয়ে কম নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে শতকরা ৩১ শতাংশ মানুষ।
রিপোর্টে সিএনএন কে সমস্ত নিউজ চ্যানেলের মধ্যে সবচেয়ে বিশ্বস্ত বলে দেখা যায়। দ্বিতীয় স্থানে স্কাই নিউজ। তৃতীয় স্থানে বিবিসি। এরপরে অবস্থান করছে আইটিভি।
বিবিসি, আইটিভি এবং স্কাই নিউজের মতো প্রথাগত সংবাদমাধ্যম দেখার প্রবণতা এখনও রয়েছে, যা এখন প্রাক-মহামারী স্তরের নীচে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৩৮ শতাংশ প্রিন্ট এবং অনলাইন সংবাদপত্রের পাঠক। এই সংখ্যা সামাজিকক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কারণে আরো কমবে বলে রিপোর্টে আশংকা প্রকাশ করা হয়।
কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে সংবাদপত্রের ব্যবহারের বা পাঠ করার সংখ্যা গত পাঁচ বছরে ১৯ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে।