জ্বালানী তেল নিতে এসে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন মানুষ। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। বলা হয়, এ দাম রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আগের দামে তেল কিনতে অনেকেই ফিলিং স্টেশনে ভীড় করতে শুরু করেন। এদিকে অনেক ফিলিং স্টেশনে তেল বিক্রি বন্ধ করা হয়। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরা আজমপুর এলাকায় তেল নিতে এসে না পেয়ে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। একই সঙ্গে মহাসড়কও অবরোধ করপন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রতি লিটার অকটেন ১৩৫, পেট্রোল ১৩০ এবং ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ডলার-সংকট, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিপিসির আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনার কথা বলে জ্বালানির দাম আবারও বাড়াল সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রাত ১২টা থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে রাতে সরকারি সূত্র আভাস দিয়েছে, জ্বালানি তেলের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামও বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও সরকার এই মূল্যবৃদ্ধিকে সমন্বয় হিসেবে দেখতে চাইছে।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই কিছুটা সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য কমিয়ে দিয়েছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।