দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বাসভাড়া পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে বাসমালিক পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে নির্ধারণ করা এ ভাড়াও মানছে না গণপরিবহনগুলো। এমনকি যেসব বাস চলছে তার কোনোটাতেই নেই ভাড়ার তালিকা। ফলে নিজেদের ইচ্ছেমতোই ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) দিনগত মধ্যরাতে তেলের দাম বাড়ায় সরকার। পরদিনই (শনিবার) বৈঠক করে প্রতি কিলোমিটারে দূর পাল্লায় ৪০ পয়সা এবং নগরে ৩৫ পয়সা ভাড়া বাড়ায় বিআরটিএ। নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
তবে ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর সড়কে নামেনি অনেক বাস। যেসব বাস চলছে তার কোনোটাতেই ভাড়ার তালিকা নেই। ফলে গণপরিবহন সংকটের পাশাপাশি বাসের চালক ও কন্ডাক্টরদের সঙ্গে যাত্রীদের বাকবিতণ্ডার পাশাপাশি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই গন্তব্যে যাওয়ার জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর এক একটি বাস আসলে তাতে যাত্রীরা ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। সেসব বাসে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে ছুটছে মানুষ। কোনো বাসেই তালিকা না থাকলেও দূরত্বভেদে ৫ থেকে ২০ টাকা বাড়তি ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে। এ সময় অনেক যাত্রী বাড়তি ভাড়া না দিয়ে তালিকা দেখতে চান। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসের কন্ডাক্টরদের তর্কবিতর্ক করতে দেখা গেছে।