ঢাকার বাজারে এখন মোটা চালের (স্বর্ণা) কেজি ৫৫ টাকায় উঠেছে, যা এক মাস আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। বাজারে নজর রাখা ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, সাম্প্রতিক কালে এই দর সর্বোচ্চ।
চালের মূল্যবৃদ্ধির হিসাবটি সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। বাজার ঘুরেও দেখা গেছে একই চিত্র। শুধু মোটা চাল নয়, টিসিবি বলছে, সরু ও মাঝারি চালের দামও বেড়েছে। তবে বাড়ার হার মোটা চালের চেয়ে কম—৪ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ।
ঢাকার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়তে আজ মোটা চাল (গুটি-স্বর্ণা) বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। আড়তদারেরা জানিয়েছেন, এই দর এক মাস আগে ৪২ টাকার আশপাশে ছিল। পাইকারিভাবে বিআর-২৮ ও সমজাতীয় মাঝারি চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা কেজি দরে। সরু চালের মধ্যে জনপ্রিয় মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৭ থেকে ৭০ টাকা দরে। আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৪ টাকা দরে।
এদিকে খাদ্য অধিদপ্তরের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতি প্রতিবেদন বলছে, গত ১ জুলাই থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে আমদানি হয়েছে ৩২ হাজার টন চাল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির শুল্ক কমানো হয়েছে। তবে মার্কিন ডলারের দাম অনেকটা বেড়ে গেছে। এতে আমদানি করে পোষানো যাচ্ছে না।
খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, ভারত থেকে আমদানি করলে জাহাজ ভাড়াসহ দেশের বাজারে প্রতি কেজি সেদ্ধ চালের দাম পড়বে ৩৯ টাকা। আর থাইল্যান্ড থেকে আনলে দর দাঁড়াবে ৪৪ টাকার কিছু কম। এই দরের সঙ্গে অবশ্য শুল্ককর যুক্ত হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, চাল আমদানি না হওয়ায় সরকার এখন শুল্ক আরও কমানোর চিন্তা করছে। ৭ আগস্ট চালের শুল্ককর ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার একটি প্রস্তাব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে।