মিরপুর থেকে মাত্র ১০ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে- এমন একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রায় শেষের পথে। আর এটি ঢাকার সপ্তম ফ্লাইওভার।
ইংরেজি ওয়াই অক্ষরের মতো দেখতে ২ হাজার ৩৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি উড়ালসড়ক।
খুব শিগগিরই ঢাকাবাসী রাজধানীর এই নতুন ফ্লাইওভার ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। ফ্লাইওভারটিতে শেষ মুহূর্তের কাজ চলতে দেখা যাচ্ছে।
সব মিলিয়ে ঢাকার যোগাযোগে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা। আর এর ফলে আশা মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা ও মহাখালীর মধ্য দিয়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরও সহজ ও উন্নত- এমনটা জানিয়েছে ফ্লাইওভার বাস্তবায়নকারী স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রায় এক হাজার কোটি টাকার বেশি খরচে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে এর নির্মাণ দায়িত্বে রয়েছে।
। ইসিবি চত্বর থেকে শুরু হওয়া ফ্লাইওভারটি কালশী মোড়ে এসে এর একদিক কালশী কবরস্থানের দিকে এবং আরেকদিক মিরপুর ১২
নম্বরের সাগুফতা হাউজিং হয়ে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকার আগে গিয়ে শেষ হবে।
ফ্লাইওভার নির্মাণের পাশাপাশি সড়ক প্রশস্তকরণ করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে প্রায় ছয় লাইন পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতাধীন বেশ কিছু জায়গায় ৪ লেনের সড়ক ৬ লেনে উন্নীত করা দেখা যাচ্ছে। বাকি সড়ক সম্প্রসারণের কাজও এগিয়ে চলছে।
এই প্রকল্পের সড়কে থাকবে ফুটপাত, সাইকেল লেন, বাসবে, যাত্রী ছাউনিসহ অত্যাধুনিক অনেক সুযোগ-সুবিধা।
একসময়ের সরূ কালশী ক্রসিং এখন বিশাল ওই আকৃতির ফ্লাইওভারের রোগ নিয়েছে। যে ফ্লাইওভার মিরপুর থেকে ঢাকার মূল সড়ক বিমানবন্দরে সহজে যাতায়াত নিশ্চিত করবে- সংবাদ মাধ্যমকে এমনটা জানিয়েছেন ১৭ ইসিবি-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ জাহিদুল কারিম । এর আগে ঢাকায় ৬ টি ফ্লাইওভার ছিল। ঢাকার প্রথম ফ্লাইওভার ছিল মহাখালী উড়াল সেতু, এরপর খিলগাঁও উড়াল সেতু তারপর বিজয় স্মরণী উড়াল সেতু এরপর কুড়ির উড়াল সেতু, মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার সেতু, জিল্লুর রহমান উড়াল সেতু এবং সবশেষ নির্মাণ শেষের পথে মিরপুর কালশি ফ্লাইওভার।