প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বকে শিশুদের জন্য সুন্দর ও বাসযোগ্য করতে যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে শান্তি ফিরে আসুক, এটাই তাঁর প্রত্যাশা। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পৃথিবী চাই। আমরা যুদ্ধ চাই না, ধ্বংসযজ্ঞ, অস্ত্র ব্যবসা, কোনো শিশুকে উদ্বাস্তুতে পরিণত করা এবং কাউকে গুলি করে হত্যা করা হোক, আমরা তা চাইনা।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচারহীনতার কালচার থেকে জাতি মুক্তি পেয়েছে। আমার একটাই লক্ষ্য- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুন্দর হয়। এ দেশের মানুষ যেন একটা সুন্দর জীবন পায়। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ যেন মর্যাদার স্থান পায়।
তিনি বলেন, যারা ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার চেতনাকে হত্যা করেছে আজ তাদের মুখে ভোট, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শুনতে হয়। অথচ যার কারণে আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে আইন করেছে।
সরকার প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাসহ শেখ রাসেল এবং যারা যারা নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন তাদের খুনিদের বিচার করতে পেরেছি। এর মাধ্যমে দেশ অভিশাপমুক্ত হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ছোট্ট রাসেল যখন সেনা সদস্যদের দেখত, তখন সেও বড় হয়ে সেনা সদস্য হতে চাইত। টুঙ্গিপাড়ায় গেলে সে সমবয়সী শিশুদের জড়ো করত। তাদের প্যারেড করাত। তারপর চাচার কাছ থেকে টাকা নিয়ে শিশুদের হাতে ১ টাকা করে দিত। মা ওইসব শিশুদের জন্য চকলেট-বিস্কুট নিতে যেতেন। এ ছাড়া নতুন জামা-কাপড় নিয়ে যেতেন। রাসেল সেগুলো ওই শিশুদের দিত। সেই রাসেলসহ আমার পুরো পরিবারকে ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছে বলেই বাংলাদেশকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা গেছে। দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় আরও এগিয়ে যাবে।