কক্সবাজারের টেকনাফে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় মো. ফিরোজ আহমদ (২০) নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সে টেকনাফ পৌর এলাকার কায়ুকখালী পাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা অবস্থায় শুক্রবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার সময় ফিরোজের চাচা জানান, পেটে ব্যাথা নিয়ে সকাল ১১টায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডা. সিনথিয়া তাকে চিকিৎসা দেন। সন্ধ্যার দিকে পেট ফুলে গেলে বিষয়টি ডা. সিনথিয়াকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি অমলে না নিয়ে আরও পর্যবেক্ষণের কথা বলেন। পরে ডিউটি পাল্টিয়ে রাতে ডা. শোভন দাশ এলে ফের তাকে পেট ফুলে যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়, কিন্তু তিনি ঠিক হয়ে যাবে বলে কোনো চিকিৎসা না দিয়ে পূর্বের ব্যবস্থাপত্র মতে চিকিৎসা চালানোর পরামর্শ দিয়ে চলে যান।
রাত ১২টার পর রোগীর অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে ডা. শোভনকে জরুরই বিভাগে পাওয়া যায়নি। শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য কোনো হাসপাতালে নেয়ার কথা ভেবে দায়িত্বরত নার্সদের ডাক্তারকে ডাকার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা ডা. শোভন বিশ্রামে রয়েছেন এবং সকালের আগে ডাকা যাবে না বলে জানান। পরে সকাল ৭টায় ডক্টরস কোয়ার্টারে গিয়ে ডা. শোভনকে রোগীদের প্রাইভেট চিকিৎসারত অবস্থায় পাওয়া যায়। বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি এসে রোগী দেখে ৩টি ইঞ্জেকশন লিখে দেন। ২টি ইঞ্জেকশন পাওয়া গেলেও অপর একটি ইঞ্জেকশনের পরিবর্তে অন্য কোনো ইঞ্জেকশন লেখার অনুরোধ করলে তিনি তা আমলে নেননি। অবশেষে সকাল ৭টায় বাথরুমে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়।