সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে আবহাওয়ার সবশেষ আপডেটে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
বিডব্লিউওটির ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বরগুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম করে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে এখন কুমিল্লা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় অবস্থান করছিল, এটি প্রচুর বৃষ্টি ঘটিয়ে আরও দুর্বল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে রাতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দিকে চলে যেতে পারে।
স্ট্যাটাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করার ফলে, সাতক্ষীরা, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরগুনা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার বিপদ কেটে গেছে। তবে কিছুটা দমকা হাওয়া আছে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে, নোয়াখালী, ফেনী, ভোলা, চট্টগ্রাম উপকূল বেশ উত্তাল আছে যা মধ্যরাতের পর অনেকটা শান্ত হয়ে আসবে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক এলাকায় এখনো বৃষ্টি হচ্ছে যা মঙ্গলবার থেকে অনেকটা কমে আসতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ছানাউল হক মণ্ডল বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মধ্যরাতে পূর্ণশক্তি নিয়ে স্থলভাগের ওপর দিয়ে সম্মুখে অগ্রসর হবে। এর শেষ ভাগ মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরের মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে। বাংলাদেশের পুরো স্থলভাগ অতিক্রম করতে এর ৫-৬ ঘণ্টা লাগবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন,ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট কোনো পয়েন্ট নেই। এজন্য বিকেল থেকে ঝড়-বৃষ্টি হলেও আমরা অগ্রভাগের কথাটা উল্লেখ করিনি। তবে সন্ধ্যার পর থেকে যেহেতু বেশিরভাগ উপকূল এলাকায় ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে, সেহেতু এখন বলাই যায় এর অগ্রভাগের আঘাত শুরু হয়েছে। ভোরে উপকূল অতিক্রম করার সময় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে।