‘টাকায় নয়, ডলারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয়’

হাইকোর্ট বলেছেন, এখন বস্তাভর্তি টাকায় নয়, ডলারের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয়।

এক রিট আবেদনের শুনানিকালে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

কারাগারে কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে করা এ রিট আবেদন করা হয়েছিল। এ অভিযোগের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন কী করছে, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

শুনানির এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, সংবাদমাধ্যমে দেখা যায় ঘুষ লেনদেনে বস্তায় বস্তায় টাকা বিনিময় হয়।' তখন হাইকোর্ট বলেন, এখন আর বস্তায় নয়, ঘুষ নিচ্ছে ডলারে। এ সময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দুদক কী করে- এমন প্রশ্নও তোলেন হাইকোর্ট।

মামলার বিবরণে জানা যায়, কারারক্ষী পদে চাকরির জন্য ২০০৩ সালে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম এশু। উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুলিশ ভেরিফিকেশনও হয়েছিল। কিন্তু পরে আর যোগদানপত্র পাননি তিনি। চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে এশু কাপড় ব্যবসা শুরু করেন। ১৮ বছর পর জানতে পারেন প্রতারণার মাধ্যমে তার নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ওই পদে চাকরি করছেন আরেকজন। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে এরপরেও প্রতারণা করে চাকরি নেওয়া

ব্যক্তিকে চাকরিচ্যুত না করায় কারা অধিদফতরে আবেদন করেন প্রকৃত জহিরুল ইসলাম এশু। তার সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। শুনানি শেষে আগামীকাল বুধবার বিষয়টি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা সূত্রে আরও জানা গেছে, ছদ্মবেশ ধারণ এবং বিভিন্ন জাল-জালিয়াতি করে চট্টগ্রাম ও সিলেটে ২০০ কারারক্ষী চাকরি করছে- গণমাধ্যমে এমন খবর প্রচারিত হয়। পরে কারাকর্তৃপক্ষ তদন্ত করলে ৮৮ জনের জালজালিয়াতি প্রমাণ মেলে। এরমধ্যে এমন ৩ জন পাওয়া যায়, যারা অন্য আরেকজনের পরিবর্তে চাকরি করছেন।

Share this news on: