কাতারে বিশ্বকাপ খেলতে পৌঁছে গিয়েছে আর্জেন্টিনা। যদিও দোহায় সকলকে চমকে দিয়ে বিলাসবহুল হোটেলে ওঠেননি লিওনেল মেসিরা। তাঁরা বিশ্বকাপ চলাকালীন থাকবেন কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে। আর্জেন্টিনা কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হলে থাকছে। সেখানে বিফ বারবিউকিউয়ের ব্যবস্থা থাকছে।
আর্জেন্টিনার ঐতিহ্যবাহী ডিশ হলো আসাডো, যেখানে বারবিকিউয়ের বন্দোবস্ত থাকে। খোলা জায়গায় আগুনে ঝলসিয়ে বিফ, পর্ক, চিকেন ইত্যাদি সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন দক্ষিণ আমেরিকার একাধিক দেশের মানুষ। আর্জেন্টিনা, চিলি, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়েতে আসাডো জনপ্রিয়। যেখানে রেড ওয়াইন, স্যালাড-সহ পারিলা কিংবা আগুনে পুড়িয়ে মাংস খাওয়ার চল রয়েছে।
ডেইলি মেলের প্রতিবেদনে উল্লেখ, কাতারের পাঁচতারা হোটেলগুলিতে বিফ বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা নেই। কিন্তু তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্ভব। আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা ওই সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা অনেকবার এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘুরে গিয়েছি। সেখানে ব্যবস্থাপনা খুবই ভালো। সবচেয়ে বড় কথা, আসাডোর জন্য এখানে ওপেন এয়ার স্পেস রয়েছে। এই আসাডো আমাদের প্লেয়ারদের কাছেও খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা আর্জেন্টিনার মানুষজনের কাছে সংস্কৃতির একটা অংশ।
আর্জেন্টিনার ফুটবল কর্মকর্তাদের দাবি, আমরা চাই দল যেন কাতারে থাকাকালীন দেশের মতো সমস্ত ব্যবস্থাপনা পায়। সকলে মনে করতে পারেন তাঁরা যেন দেশেই রয়েছেন। এটি ফুটবলের প্রতি ফোকাস ধরে রাখার ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভূমিকা নেবে। ইতিমধ্যেই বারবিকিউয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে, যাতে আর্জেন্টিনা দল আসাডোয় হাজির হয়ে ছকে নিতে পারে প্রতিপক্ষদের মোকাবিলার রণকৌশল। যাকে হেড কোচ লিওনেল স্কালোনি টিম বন্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে খুব ইতিবাচক বলে মনে করেন। আর্জেন্টিনা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে মাংস, এমনকী আসাডো শেফকেও। তবে রেড ওয়াইন যাতে খেলোয়াড়দের কোনও সমস্যা তৈরি না করে সে ব্যাপারেও কড়াকড়ি থাকছে।
আর্জেন্টিনা দলকে যেখানে রয়েছে সেই স্টেট অব দ্য আর্ট ফেসিলিটিতে রয়েছে অলিম্পিক সাইজের সুইমিং পুল। রয়েছে বিশাল ক্যান্টিন। যে ঘরগুলিতে পড়ুয়ারা থাকেন সেখানেই থাকবেন মেসিরা। ১০ হাজার দর্শকাসনবিশিষ্ট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারবেন মেসিরা। ৯০টি ঘর রয়েছে। লিওনেল মেসি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন কাতারেই শেষ বিশ্বকাপ খেলবেন।
আর্জেন্টিনা গ্রুপ সি-তে রয়েছে। মেসিদের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে। এরপর ২৬ নভেম্বর মেক্সিকোর বিরুদ্ধে খেলবে আর্জেন্টিনা। গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচ ৩০ নভেম্বর পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর্জেন্টিনা শেষ ১৬-তে যে যাবেই সে ব্যাপারে নিশ্চিত ফুটবল বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন আর্জেন্টিনার নিকোলাস গঞ্জালেজ ও জোয়াকিন কোরেয়া। দলে নেওয়া হয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলা অ্যাঞ্জেল কোরেয়াকে। জোয়াকিন কোরেয়ার পরিবর্ত হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন আটলান্টা ইউনাইটেডে খেলা থিয়াগো আলমাডা।