প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের নারীরা। নারী-পুরুষ সমানতালে কাজ না করলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবসের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পথ বেগম রোকেয়াই দেখিয়েছিলেন। বর্তমানে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে সবধরনের কর্মক্ষেত্রে নারীরা কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার সারাদেশে ডিজিটাল সেন্টার ও ফ্রি ল্যান্সারদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ প্রজেক্টের মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যেখানে উদ্যোক্তা একজন নারী এবং একজন পুরুষ। সেখানে সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে দেশের নারী সমাজ। আর এর মাধ্যমে স্বল্প শিক্ষিত একজন নারীও ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
সরকার প্রধান বলেন, ‘কাজেই সারাদিন ঐ ফেসবুক আর এসব না দেখে তারা যদি এই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা নেয়, ফ্রি-লান্সিং করে তাহলে কিন্তু সেখানে বসে সে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারে। একটি প্রত্যন্ত ইউনিয়নে বসে কিছু শিক্ষা নিয়ে সে দেশে-বিদেশে অর্থ উপার্জনের সুযোগ পাচ্ছে। যেটা অনেক ছেলে-মেয়ে করে যাচ্ছে।’
এসময় সংসদ উপনেতার শূন্য পদ একজন নারীকে দিয়েই পূরণ করবেন বলে অঙ্গীকার করেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের পাঁচ বিশিষ্ট নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিয়েছেন তিনি।
এ বছর বেগম রোকেয়া পদক বিজয়ী হলেন- রহিমা খাতুন, অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম অ্যাডভোকেট, ফরিদা ইয়াসমীন, ড. আফরোজা পারভীন এবং নাসিমা বেগম। তাদের প্রত্যেককে একটি করে স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।
নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন চট্টগ্রামের প্রফেসর কামরুন নাহার বেগম। নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পদক বিজয়ী হলেন সাতক্ষীরা জেলার ফরিদা ইয়াসমিন (জন্মস্থান খুলনা), নড়াইল জেলার ড. আফরোজা পারভীন সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পদক পেয়েছেন। পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় পদক পেয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার নাছিমা বেগম এবং নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখায় ফরিদপুর জেলার রহিমা খাতুন এই পদক লাভ করেন।
বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।