সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি আজ

বিচারপতিদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণার আপিল বিভাগের রায় পুর্নবিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় রাখা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে আবেদনটির শুনানির জন্য দুই নম্বর ক্রমিকে রাখা হয়েছে।

বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই রায় দেয় আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।

আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রাষ্ট্রপক্ষ ৯০৮ পৃষ্ঠার এ রিভিউ আবেদনে ষোড়শ সংশোধনীর পক্ষে ৯৪টি যুক্তি দেখিয়ে আপিল বিভাগের রায় বাতিল চেয়েছেন।

সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করবে- এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর সংশোধনীটি বাতিল প্রশ্নে রুল জারি করেন।

২০১৬ সালের ৫ মে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন। ২০১৬ সালের ১১ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ।

২০১৭ সালের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।

২০১৭ সালের ৮ মে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে ১১ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আপিল শুনানিতে সুপ্রিমকোর্টের ১০ বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) হিসেবে আদালতে মতামত উপস্থাপন করেন। ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষোড়শ সংশোধনীর আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি নিয়োগ দেন আপিল বিভাগ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেয়া হয়। ১৯৭২ সালে প্রণীত মূল সংবিধানে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ছিল।

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে রণবীর, দেখা মিললো বেবি বাম্পের May 20, 2024
img
ইরানে ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, মঙ্গলবার রাইসিসহ নিহতদের দাফন May 20, 2024
img
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে বেড়েছে তেলের দাম May 20, 2024
img
বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক দেবে সরকার, পুরস্কার স্বর্ণ পদক ও কোটি টাকা May 20, 2024
img
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক May 20, 2024
img
কঠোরভাবে বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর May 20, 2024
img
রাইসির মৃত্যুতে ইসরায়েলি নেতাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ May 20, 2024
img
আইপিএলের প্লে-অফে কে কার মুখোমুখি May 20, 2024
img
বিএনপির হাত থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী May 20, 2024
img
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ May 20, 2024