নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানাল মার্কিন রাষ্ট্রদূত হাস

রাজধানীর শাহীনবাগের ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে তার এই উদ্বেগের কথা জানান তিনি। এদিন সকালে রাষ্ট্রদূত 'মায়ের ডাক' সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে অপ্রীতিকর পরিস্থির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অসন্তোষের কথা তুলে ধরেন পিটার ডি হাস।

এর আগে, বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে ২০১৩ সালে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান রাষ্ট্রদূত। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন 'মায়ের কান্না' নামে আরেকটি সংগঠনের সদস্যরা। সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে তারা স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় কিছুটা ধাক্কাধাক্কি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

নিরাপত্তাজনিত কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে মায়ের ডাকের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে বের হয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এর পর দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তিনি।

মায়ের ডাকের সঙ্গে বৈঠকের সময় পিটার ডি হাসের সঙ্গে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বাংলাদেশ ডেস্কের কর্মকর্তা লিকা জনসন। সুমনের পরিবারের সদস্যসহ মায়ের ডাকের বেশ কয়েকজন সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জেফ রাইডেনাওয়ার বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা নিরাপত্তাজনিত কারণে বৈঠক আগেই শেষ করেছেন। আমরা বিষয়টি সরকারের সর্বোচ্চ মহলে তুলব।

বিএনপি নেতা সুমনের বাসায় 'মায়ের কান্না' সংগঠন ৪৫ বছর আগে সামরিক শাসনামলে মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে মার্কিন দূতের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পৌঁছার পরপরই কথা বলতে চান। পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে রাষ্ট্রদূত সকাল ৯টা ৫ মিনিটে সুমনের বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময়েও সেখানে ওই সংগঠনের সদস্যরা অবস্থান নিতে থাকেন। এতে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে- এমন আশঙ্কায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত তাড়াতাড়ি কর্মসূচি শেষ করে ফিরে যান। প্রায় ২৫ মিনিট পিটার ডি হাস সুমনের বাসায় অবস্থান করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত জরুরি ভিত্তিতে সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি রাজধানীর একটি বাসায় গিয়েছিলেন। সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। তখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে বলেছেন দ্রুত স্থান ত্যাগ করতে। না হলে ওরা গাড়ি ঘিরে ফেলবে। এ ঘটনায় মার্কিন দূত খুবই অসন্তুষ্ট। মার্কিন দূতকে জানিয়েছি, আপনার নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। মার্কিন দূত অধিকতর নিরাপত্তা চাইলে সরকার সে ব্যবস্থা করবে।

Share this news on:

সর্বশেষ