রংপুর সিটিতে ভোটগ্রহণ চলছে

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন ভোট গ্রহণ চলছে।  ২২৯টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩৪৯টি কক্ষে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচন কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া সব ভোটকেন্দ্রে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও সিসিটিভি ক্যামেরায় মনিটরিংয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

এই নির্বাচনে ৮৬টি ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্বাচনে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় সাত হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মাঠে থাকছে র‌্যাব ও বিজিবিসহ শতাধিক পুলিশের টহল গাড়ি। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক রাখতে ছয়স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের কথা জানিয়ে পুলিশ কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র এবং কেন্দ্রের বাইরে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন থাকবেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীরা হলেন— জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।

রসিক নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবার মেয়র পদে ৯ জনসহ সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

Share this news on: