শীত বাড়তেই চারপাশের বাতাসে দূষণ বাড়তে থাকে। এই সময় ফুসফুস ও হৃদরোগের আশঙ্কাও অনেকটা বেড়ে যায়। চিকিৎসকদের চেম্বারে বাড়তে থাকে ভিড়। ফুসফুস বা শ্বাসনালির একাধিক রোগের মধ্যে অন্যতম হল টনসিলাইটিস ও সাইনাস। অল্পেতেই যাদের ঠান্ডা লাগে, শীতে তাদের প্রায়ই এই সমস্যায় ভুগতে হয়।
ভারতের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের ইএনটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শর্মা কোভালে জানাচ্ছেন, সাইনাস ও টনসিলাইটিস যাদের রয়েছে, তাঁদের শীত পড়ার আগে থেকেই সতর্ক থাকা উচিত। এছাড়াও এই সময় নিয়মিত গরম খাবার, গরম জল ও টাটকা শাকসবজি খাওয়া জরুরি। চিকিৎসকের কথায়, টনসিলাইটিস ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল দুই ধরনের হয়। এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়াল টনসিলাইটিস হলে গরম জল ও গরম খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়াও, গ্রিন টি ও স্যুপও খাওয়া যেতে পারে।
সাধারণ ঠান্ডা আর অ্যালার্জির জন্য ঠান্ডা লাগার মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা এক থেকে ১০ দিন মতো থাকে। অন্যদিকে অ্যালার্জেনের চিকিৎসা না হওয়া পর্যন্ত অ্যালার্জির ঠান্ডা লাগা কমে না। এর জন্য চিকিৎসক অনেক সময় নাসাল স্প্রে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি গার্গল করে গলার থেকে কফ দূর করার পরামর্শও দেওয়া হয়ে থাকে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে স্টিমুলেশন ব্যবহারের পরেও নাক থেকে হলুদ বা সবুজ জল পড়ে। এমন ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সাইনাস বা টনসিলাইটিসে সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন-
ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে এমন ব্যক্তিদের এই সময় সাবধানে থাকা উচিত।
ঠান্ডা লাগার উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত হতে পারেন এমন ব্যক্তিদের সিগারেট খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়াও দূষণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা জরুরি।