চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এতে দুই বাম জোটের দুই নেতাকর্মী আহত এবং ছাত্রজোটের চার নারীকর্মী লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে তারা প্রক্টর অফিস থেকে বের হয়ে নগরীর দিকে যাওয়ার সময় হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে ফের হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়। এ দফা অন্তত আরো পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন- সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খন্দকার আবিদ হাসান, নাট্যকলা বিভাগের মুশফিক উদ্দিন ওয়াসিক, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গৌঁরি চন্দ্র ঠাকুর অপু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবা জাহান রুমি, ছাত্রফ্রন্টের দপ্তর সম্পাদক সুব্রত মন্ডল, ধ্রুব বড়ুয়া ও আশরাফী নিতু। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রগতিশীল ছাত্রজোট। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এলে তাতে হামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। 

হামলার বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ধীষণ প্রদীপ চাকমা বলেন, ছাত্রলীগের এ ধরনের হামলার নিন্দা জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার বিচার চাই।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক জান্নাত মুমু বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানাতে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল। মিছিলটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আসতেই ছাত্রলীগ হামলা চালায়।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুল জানান, তারা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ সংগঠন নিয়ে উল্টাপাল্টা স্লোগান দিলে আমাদের জুনিয়ররা সহ্য করতে পারেনি। পরে আমরা গিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করি। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনার বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী জানান, ছাত্র সংগঠনগুলো কোনো কর্মসূচি পালনের আগে প্রক্টর অফিসকে অবহিত করতেন তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারতাম। এরপরেও ঘটনার পরে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সামান্য ঝামেলা হয়েছিল, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on: